বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে আনা মানহানির মামলায় জয় পেলেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ। আদালত রায় দিয়েছে, গার্হস্থ্য হিংসার যে অভিযোগ জনির বিরুদ্ধে এনেছিলেন অ্যাম্বার, তা মিথ্যা এবং অবমাননাকর। জনির মানহানির জন্য অ্যাম্বারকে ভারতীয় টাকায় ১১৬ কোটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, জনির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনার পিছনে অ্যাম্বারের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। জনির ভাবমূর্তি নষ্ট করা, তাঁর বদনাম করাই যে লক্ষ্য ছিল অ্যাম্বারের, তা মেনে মেনে নিয়েছে আদালত।
প্রায় ছ’হপ্তা ধরে চলা ট্রায়ালের পর এই নির্দেশ দিয়েছে ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স-এর ৭ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ। মানহানির মামলা জিতে ডেপ তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “ছ’বছর আগে আমার জীবন, আমার বাচ্চাদের জীবন, যাঁরা আমার কাছাকাছি তাঁদের জীবন এবং যাঁরা দিনের পর দিন ধরে আমায় সমর্থন করেছেন এবং বিশ্বাস রেখেছেন, তাঁদের সকলের জীবন যেন চিরতরে বদলে গিয়েছিল৷ চোখের পলকে সব পাল্টে গিয়েছিল ৷”
অন্যদিকে, হলি-অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এই রায়ে আমি এতটাই হতাশ যে শব্দে প্রকাশ করতে পারব না ৷ আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে ৷ পাহাড়সম প্রমাণ থাকলেও তা এই অসম শক্তি, প্রভাবের জন্য যথেষ্ট ছিল না এবং তা আমার প্রাক্তন স্বামীর পক্ষেই গিয়েছে৷ এই রায়ের ফল অন্য মহিলাদের জীবনে কী হবে, তা ভেবে আমি আরও বেশি নিরাশ হয়ে পড়ছি ৷ এটা একটা ধাক্কা৷”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে স্বামী-স্ত্রী আইনি লড়াই চলছে। অ্যাম্বারের অভিযোগ ছিল, তিনি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথাই বার বার বলেছিলেন। কিন্তু জনি যে তাঁকে মারধর করতেন, তাতে চোখে-মুখে দাগ থেকে যেত, আগের সেই অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি অ্যাম্বার। এমনকি দু’জনের মধ্যে কথোপকথনে দেখা যায়, দূরত্ব বজায় রাখতে চাওয়া জনিকে কার্যত নাস্তানাবুদ করেন অ্যাম্বার। তিনি যে জনিকে মারধর করতেন সে কথাও বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। অ্যাম্বারের ছোড়া ভদকার বোতলে জনির হাতের ওপরের অংশ কেটে গিয়েছিল, বিছানায় নাকি শৌচকর্ম করে রাখতেন অ্যাম্বার, নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে পোস্টও করে দিতেন এমনও অভিযোগ উঠেছিল জনির প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে।