বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার অ্যাম্বুল্যান্সে (ambulance) গরম জলের ব্যবস্থা করে তাক লাগালেন ‘অ্যাম্বুল্যান্স দাদা’। তার এই অভিনব কর্মকাণ্ডে সবাই খুব খুশী হন। গ্রামে অসুস্থ রোগী নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই, বা লোক আছে তো গাড়ি নেই।
তখন একটাই ডাক অ্যাম্বুল্যান্স দাদাকে। সশরীরে বাইক নিয়ে ভগবানের মত রোগীর দোরগোড়ায় হাজির। মোটরবাইকে চাপিয়ে প্রত্যন্ত এলাকার রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার সুবাদে আসমুদ্র হিমাচলের কাছে তাঁর পরিচিতি বাইক অ্যাম্বুল্যান্স দাদা হিসেবে। এ কাহিনী অবশ্য নতুন নয়।
কিন্তু এবার পদ্মশ্রী করিমুল হক (Karimul Haque) ওই বাইক থেকে রোগীর জন্য যাতে রাস্তাতেই প্রয়োজনে গরম জল মিলতে পারে সেই ব্যবস্থাও করেছেন। সৌজন্যে পঞ্জাবের রামচন্দ্র আলুওয়ালিয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনিই করিমুল সাহেবের বাইকে পরিবেশবান্ধব পরিস্রুত গরম জল পাওয়ার ব্যবস্থাটি করে দিয়েছেন।
করিমুল সাহেব বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই এটা চলছে। কাউকে অবশ্য জানাইনি। চা, কফি কিংবা দুধ তৈরির জন্য যে গরম জলের প্রয়োজন তা বাইকে থাকা স্বযংক্রিয় ব্যবস্থাটির মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে রোগীদের প্রয়োজনের সময় ওইসব পানীয় তাঁদের মুখে তুলে দিতে পারছি।
করিমুল সাহেব আরও বলছেন, বাইকের নীচে সামনের দিকে একটি ছোট সিলিন্ডারের মতো দেখতে বস্তু বসানো হয়েছে। তাতে কোথাও যাত্রা শুরুর আগে ঠান্ডা জল ভরে নিতে হয়। ৩ কিলোমিটার গেলে ১ লিটার জল নিজে নিজেই গরম হয়ে যায়। বাইকের বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার সঙ্গে ওই জল গরম হওয়ার বিষয়টি জড়িত। রাস্তায় যখন প্রয়োজন তখন সিলিন্ডারের নীচের মুখ থেকে গরম জল পাত্রে বের করে নিলেই হল।
তা দিয়ে চা, কফি, দুধের মতো পানীয় তৈরি করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, বহু রোগীর শুধু গরম জলই প্রয়োজন হয়। সেটাও রাস্তাতে এক মুহূর্তের মধ্যে মিলে যাচ্ছে। এছাড়াও জঙ্গলের কিংবা জনশূন্য পথে চা বা কফি খেতে ইচ্ছে করলে সেটাও সঙ্গে থাকা উপকরণ দিয়ে করে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত বহু রোগী তাঁর ওই বাইকে থাকা ব্যবস্থাটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। করিমুল সাহেব মানেই যে মানবকল্যাণে নতুন ভাবনার পথ প্রদর্শক সেটা প্রতিনিয়তই প্রমাণিত হয় বলে জানিয়েছেন সমাজসেবীরা। তিনি সকলের কাছে সমাজসেবীই বটে।