ইরাক থেকে একটা বড়ো খবর সামনে আসছে। আমেরিকা আবার ইরাকে আইএসআইএস ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটিতে বিমান হামলার সময় মার্কিন সেনাবাহিনী ৩৬ হাজার কেজি বোমা ফেলেছে। এই সমস্ত বোমা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আধুনিক এফ -35 এবং এফ -15 বিমানের সাহায্যে ফেলে দিয়েছে। এখনও অবধি প্রাপ্ত খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকা এই বোমাগুলি তিগ্রি নদীর দ্বীপ ফেলেছে যেখানে আতঙ্কবাদীরা ঘাঁটি জমিয়ে বসে ছিল। আইএসের বিরুদ্ধে দমন কার্য তীব্র করতে মার্কিন সেনাবাহিনীর দ্বারা হামলা চালানো হয়েছে। ইরাকের সুরক্ষা বাহিনীও এক্ষেত্রে আমেরিকার সহায়তা করেছে।
এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটি পুরোপুরি ধ্বংস করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জানানো হয়েছিল যে ইরাকের মোসুলের সিরিয়া ও জাজিরা রেজিস্তান অঞ্চল ছাড়াও আইএসআইএসের জঙ্গিরা কিরকুক ও মাখমুরে তাদের সন্ত্রাসীদের আস্তানা তৈরি করেছে। কানসু দ্বীপ, কায়ারা মার্কিন অপারেটিং বেসের কাছে অবস্থিত। সেই কানুস দ্বীপেই বড়ো ধরনের এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে মার্কিন সেনা। হামলায় ২৫ জন আতঙ্কবাদী শেষ হয়েছে বলে খবর সামনে আসছে। যদিও আতঙ্কবাদী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের মধ্যে চুক্তির পর থেকে এইবার দ্বিতীয়বারের মতো সেনাবাহিনী এত বড় আক্রমণ চালিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার-আল-আবাদি 2017 সালে আইএস কে পুরোপুরি নির্মূল করেছে বলে দাবি করেছিলেন। তবে তা ঘটেনি, তাই মার্কিন সেনা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দাবি করা হয়, এই অঞ্চলে আইএস থেকে প্রচুর পরিমাণে স্লিপার সেল তৈরি করা হয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মনে করেছিলেন যে আইএস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে তবে এই স্লিপার সেলগুলি সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে পুনর্জীবিত করেছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এফ -35 বিমান ব্যবহার করেছে। এফ -35 এ বিমান 8,100 কেজি বহন করতে সক্ষম, এবং এফ -15 13,380 কেজি অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানে তালিবানদের বিরুদ্ধে অভিযানে এফ -35 যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল।