বাংলহান্ট ডেস্ক: বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির তালিকা যদি তৈরি করা হয়, তাহলে আমেরিকার (United States of America) নাম থাকবে উপরের দিকেই। কিন্তু বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির জন্যই এ বার এল এমন এক খবর, যা চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। সম্প্রতি আমেরিকার দু’টি বড় ব্যাঙ্ক ডুবে গিয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক ব্যাঙ্ক ডোবার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত কয়েক দিনে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ তুলে নিয়েছেন মানুষ। ফলে আরও খারাপ হয়েছে ব্যাঙ্কগুলির অবস্থা। তাহলে কি আমেরিকার অবস্থাও পাকিস্তানের মতো হতে চলেছে?
পাকিস্তান তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য নেই। পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারেরও দৈনদশা। এর মধ্যে আমেরিকার মতো একটি দেশের থেকে এমন একটি খবর আসায় উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই আমেরিকার ব্যাঙ্ক বন্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ডলারের উপরেও। অনেক দেশই ডলারের পরিবর্তে নিজেদের মুদ্রায় লেনদেন শুরু করেছে। এই প্রথম এত বড় ধাক্কা খেল আমেরিকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকাও একটি অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে ঋণের সিলিং যদি বাড়ানো যা হয়, তাহলে বিপর্যয় নেমে আসবে বাইডেনের দেশে। আমেরিকা যদি অর্থনৈতিক সঙ্কটে চলে যায়, তাহলে এক লহমায় কাজ হারাবেন ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। একইসঙ্গে দেশের জিডিপিও এক ধাক্কায় ৫ শতাংশ পড়ে যাবে। এর প্রভাব ভারত সহ গোটা বিশ্বে পড়বে। কী হবে যদি আমেরিকায় নেমে আসে অর্থনৈতিক সঙ্কট?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭০ লক্ষ মানুষ কাজ হারাবেন। ফের ২০০৮-এর মতো একটি সঙ্কট নেমে আসবে আমেরিকার বুকে। এই পরিস্থিতিতে সরকার একাধিক জিনিসের মূল্য চোকাতে পারবে না। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য পাবেন না। এর ফলে সোশ্যাল সিকিউরিটি, মেডিকেয়ার এবং মেডিকেড সহ একাধিক প্রকল্প আটকে যাবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ৬.৬ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধা পেয়েছিলেন।
আমেরিকা অর্থনৈতিক সঙ্কটে চলে গেলে তাদের অবস্থা কিছু অংশে পাকিস্তানের মতো হতে পারে। সামরিক বাহিনীকে বেতন দিতে পারবে না তারা। সঙ্কটের জেরে আমেরিকার ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব পড়বে। এর ফলে আমেরিকার আমজনতার পকেটে টান পড়বে। তবে এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি উপায় রয়েছে। ঋণ শোধ করার তারিখ পিছিয়ে দিতে পারে আমেরিকা। এছাড়াও ডলারের দামেও পতন আনতে পারে তারা। এর ফলে তাদের পণ্য রফতানি সস্তা হবে। এর ফলে তাদের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হতে পারে।