বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (pakistan) আতঙ্কবাদীদের হালত খারাপ করার প্রচেষ্টায় সফল আমেরিকা (america)। মার্কিন মুলুকের পরিকল্পনা ছিল, যে কোন মূল্যে পাকিস্তানের আতঙ্কবাদীদের কোনভাবেই বাড়তে না দেওয়া। সেইমত কাজ শুরুও হয়েছিল জোর কদমে।
সম্প্রতি আমেরিকার মন্ত্রালয়ের পক্ষ থেকে এক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, লস্কর-ই-তৈয়বার ৩.৪২ লক্ষ আমেরিকান ডলারের ফান্ডিং, জৈয়শ-ই-মহম্মদের ১৭২৫ আমেরিকান ডলারের ফান্ডিং, হারকত-উল-মোজায়িদ্দিন-অল-ইসলামির ৪৫৭৯৮ ডলারের ফান্ডিং-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেয়। এই সকল সংগঠন পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন হিসাবেই পরিচিত।
প্রধানত, হারকত-উল-মোজায়িদ্দিন-অল-ইসলামি জেহাদি সংগঠন প্রধানত কাশ্মীরে সন্ত্রাবসাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকে। সেইকারণে কাশ্মীরে সক্রিয় অপর এক আতঙ্কবাদী সংগঠন হিজবুল মোজায়িদ্দিনের ৪৩২১ ডলারের ফান্ডিং বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। ২০১৮ সালেও একবার এই সংগঠনের ২২৮৭ ডলারের ফান্ডিং বন্ধ করা হয়েছিল। এইভাবেই ২০১৯ সালে তেহেরিকের তালিবান পাকিস্তানের ৫০৬৬ আমেরিকান ডলারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
অন্তরাষ্ট্রীয় আতঙ্কবাদী সংগঠন এবং আতঙ্কবাদীদের সমর্থন করছে এমন দেশের সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকার এই মন্ত্রালয়। আমেরিকার এই মন্ত্রালয়ের রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯ সালে আমেরিকা প্রায় ৭০ আতঙ্কবাদী সংগঠনের প্রায় ৬.৩ কোটি ডলারের ফান্ডিং-এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সবথেকে বেশি পরিমাণ ফান্ডিং বন্ধ করা হয়েছিল আলকায়দা সংগঠনের, যা প্রায় ৩৯ লক্ষ।
এইভাবে ২০১৮ সালে ৪.৬ কোটি ডলারের ফান্ডিং আটকে দেয়। যার মধ্যে আলকায়দার ফান্ড ছিল ৬৪ লক্ষ ডলার। এমনকি শ্রীলঙ্কার তামিল আতঙ্কবাদী সংগঠন লিট্টেরও ৫.৮০ লক্ষ আমেরিকান ডলারের ফান্ডিং বন্ধ করে দেয়। আমেরিকার পক্ষ থেকে নেওয়া এই পদক্ষেপে পাকিস্তানের আতঙ্কবাদী সংগঠন কিছুটা হলেও নড়বড়ে হয়ে গেছে। আমেরিকার থেকে অর্থ না মেলায়, এখন চীন, তুর্কির সামনে হাত পাততে হতে পারে পাক সরকার ইমরান খানকে।