বাংলা হান্ট ডেস্ক : চিন তাইওয়ান সংঘর্ষ ক্রমেই জটিল আকার নিচ্ছে। আর এই সংকটে আগুনে ঘি দেওয়ার কাজ করছে আমেরিকা (America)। তাইওয়ানে (Taiwan) সঙ্গে সামরিক যুদ্ধ মহড়া করে, কখনও বা সেনা মোতায়েন করে বারবার চিনকে (China) চাপে রাখতে চায় হোয়াইট হাউস। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর (US Defence Ministry) তাইওয়ানের বুকে এমন কিছু পদক্ষেপ করল, যার জেরে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতে পারে ড্রাগন।
কয়েক মাস আগেই ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান আগমনকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ বাঁধার উপক্রম হয়। তাইওয়ানের আকাশ সীমায় উড়তে দেখা যায় চিনা যুদ্ধ বিমান। চিন সাগরের পাড়ে সেনা মোতায়েন করে বেজিং। এদিকে রণতরীতে সজ্জিত হয়ে তাইওয়ান উপকূলে পৌঁছে যায় মার্কিন নৌবাহিনী। মনে হচ্ছিল রাশিয়া ইউক্রেনের পর আবারও এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দেখতে চলেছে বিশ্ব। কিন্তু ধীরে ধীরে শান্ত হয় পরিস্থিতি। কিন্তু শান্ত হয়নি চিন সাগর। বরং আরও শীতল হয়েছে চিন-তাইওয়ান সম্পর্ক। এবার এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতেই বড় পদক্ষেপ আমেরিকার।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রক জানাচ্ছে, তাইওয়ানে মিলিটারি প্রশিক্ষণ নেওয়া সেনা সংখ্যা ৪ গুণ বৃদ্ধি করতে চলেছে হোয়াইট হাউস। স্বাভাবিক ভাবেই এই খবরে অত্যন্ত বিচলিত চিন। ওয়াশিংটন সূত্রে খবর, চিন করমুক্ত করতে তাইওয়ানে আরও বেশি সেনা মোতায়েন করবে আমেরিকা। জানা যাচ্ছে, তাইওয়ানে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ১০০ থেকে ২০০ সৈনিক পাঠানোর পরিকল্পনা করেছ আমেরিকা।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত বছর পর্যন্ত তাইওয়ানে মোতায়েন মার্কিন সেনা সংখ্যা ছিল ৩০। চিনের মোকাবিলা করতে তাইওয়ানও মার্কিন সাহায্যে যথেষ্ট আগ্রহী বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে হাত গুটিয়ে বসে নেই চিনও। ২০২৭ সালের আগেই তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বদ্ধপরিকার বেজিং। আর তা করতে গেলে কূটনৈতিক ভাবে নয়, বরং যুদ্ধই করতে হবে। তাইওয়ানের মতো ছোট দেশের পক্ষে বৃহৎ শক্তির চিনের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাইওয়ানের পক্ষে যদি আমেরিকা এবং জাপানও চিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা তাহলে যুদ্ধের পরিণতি বদলাতে বাধ্য।
এখন প্রশ্ন হল, ১০০ থেকে ২০০ জন যে মার্কিন সেনা সেনাকে মোতায়েন করছে আমেরিকা তাদের দায়িত্ব কী থাকবে? জানা যাচ্ছে। চিন হঠাৎ আক্রমণ করলে প্রাথমিক ভাবে তাইওয়ানকে রক্ষা করবে ওই সেনাদল। এছাড়া চিনকে ঠেকাতে তাইওয়ান সোনাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেবে এই সেনা দল। এখন দেখার এর পর ড্রাগন কী পদক্ষেপ করে তাইওয়ান তথা আমেরিকার বিরুদ্ধে।