বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা সকলেই জানেন। কাঙাল হতে বসেছে দেশটি। তবে শুধু পাকিস্তান একা নয়। আরো এক দেশ রয়েছে যা বর্তমানে ঋণের দায়ে প্রায় দেউলিয়া হতে বসেছে। অথচ বিশ্বের অন্যতম সবথেকে ‘শক্তিশালী’ দেশগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। প্রথম বিশ্বের দেশটির নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (America)।
মাত্রাতিরিক্ত ঋণে ডুবে রয়েছে আমেরিকা (America)
বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হওয়ার পাশাপাশি গলা পর্যন্ত ঋণেও ডুবে রয়েছে আমেরিকা (America)। সরকারের তথ্য বলছে, এখনো পর্যন্ত ৩৬ লক্ষ কোটি ডলার ঋণ রয়েছে বাইডেনের দেশের। এর মধ্যে আবার চলতি বছরে আরো দু লক্ষ টাকা ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে আমেরিকা (America)। আসলে করোনা কালে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খাওয়ায় করোনার পরে প্রচুর অর্থ ধার করতে হয়েছিল আমেরিকাকে। দেশের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, কোভিড পরবর্তী বছরে প্রায় ১৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে আমেরিকা।
এত ঋণ বাড়ল কীভাবে: পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে আমেরিকার (America) জাতীয় ঋণ দেশের জিডিপির ১২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে আগামী দিনে সেটা ২০০ শতাংশ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছরেই আমেরিকার (America) ঋণের খরচ ১ লক্ষ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। জাতীয় ঋণ এত বেড়ে গেলে সার্বিক উন্নতিতে আসবে বড় প্রভাব। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় ঋণ কমানোর দিকে নজর দেবেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরো পড়ুন : তাঁর নামে রাখা হত না সন্তানের নাম, অমিতাভের থেকেও বেশি পারিশ্রমিক নিতেন বলিউডের এই দুর্ধর্ষ ভিলেন!
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নয়া মন্ত্রক গঠন: ইতিমধ্যেই ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি নামে একটি নতুন মন্ত্রক তৈরি করতে চলেছেন তিনি। এখানে থাকছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামী। অযোগ্য সরকারি বিভাগ এবং কর্মচারীদের এই মন্ত্রকের মাধ্যমে ছেঁটে ফেলা হবে বলে খবর। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে আইনজীবীদের ফার্মগুলিকেও সরকারি তহবিল থেকে অর্থ দেওয়া বন্ধ করা হতে পারে। সেই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য বিষয়, নির্বাচনী প্রচারের সময় আয়কর পুরোপুরি তুলে দেওয়ার কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে তেমনটা ট্রাম্প করতে পারবেন না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
আরো পড়ুন : ঐতিহাসিক! প্রথম বার অস্কারের মনোনয়নে বাংলা গান, বিরাট স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় ইমন
উল্লেখ্য, করোনা পরবর্তী সময়ে ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রচুর। এদিকে চিন, রাশিয়ার মতো ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির পণ্যের উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা বলেছেন ট্রাম্প। যদিও এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সব মিলিয়ে আমেরিকাকে (America) এই বিপুল ঋণের জাল থেকে অব্যাহতি দিতে ট্রাম্পের কালঘাম ছুটতে চলেছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।