বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন থেকে আগত সমস্ত ওষুধ পথ্যের (Drugs) আমদানিতে এবং চীনে পাঠানো দ্রব্যের রপ্তানিতে এবার নিষেধাজ্ঞা জারী করতে চলেছে আমেরিকা (America)। জোর দিতে হবে দেশীয় কোম্পানির উপর। আবার চীনকে কোণঠাসা করার জন্য ভারতকে হাতিয়ার দিয়ে শক্তিশালী করছে আমেরিকা। এবার আমেরিকা থেকে চীনের পাত্তারি গোটানোর সময় এসে গেছে।
মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) উৎপত্তির জন্য আমেরিকা প্রথম থেকেই চীনকে দোষারোপ করে এসেছে। এই ভাইরাসকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনি ভাইরাস বলেও অভিযোগ করেছিলেন। আমেরিকা বর্তমানে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দোষী সাবস্ত করেছে চীনের জিনপিং সরকারকে। এমনকি এই ভাইরাসের কারণে UNSC -এর বৈঠকে চীনের উপর মার্কিন রাষ্ট্রপতি তার সমস্ত রাগ উগড়ে দিয়েছিলেন।
মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের কারণে আমেরিকা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা রেকর্ড করছে আমেরিকা, এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার। এই পরিস্থিতিতে বারবার মার্কিন সরকার চীনের সরকারকে এই ভাইরাসের জন্য দোষারোপ করে এসেছেন। এবারে আমেরিকার সেনেটর স্টিফ জেনস মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে এক পত্র মারফত জানান, ‘এবার চীন থেকে চিকিৎসা দ্রব্য আমদানির বন্ধ করতে হবে। চীনের সাথে চিকিৎসা বিষয়ক সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। এবং দেশীয় কোম্পানিদের উপর বেশি করে জোর দিয়ে হবে’।
একদিকে আমেরিকা থেকে চীনের বাস উঠতে চলেছে, আর অন্যদিকে চীনের বিরুদ্ধে হামলা করার জন্য ভারতকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতেও রাজি আমেরিকা। ১৫.৫ কোটি ডলারের হার্পুন ব্লক ২ এয়ার লঞ্চার মিসাইল এবং হালকা ওজনের টর্পিডো ভারতকে দেবে বলে জানিয়েছেন আমেরিকা।
এছাড়াও চীন থেকে নিজেদের সমস্ত কোম্পানি ফিরিয়ে আনতে চাইছে জাপান। জাপান সরকার জানিয়েছে, চীন থেকে তাঁদের সমস্ত কোম্পানিকে ফিরে আসতে হবে। আর এর জন্য যা অর্থের প্রয়োজন হবে, তা জাপান সরকার দেবে। এবং এই কাজের জন্য জাপান সরকার প্রায় ১৬৭৮৬ কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করেছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভবিষ্যতে এই করোনা ভাইরাসের কারণেই চীনকে বড় সড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।