রাহুল গান্ধী প্রসঙ্গে নজর রাখছে ওয়াশিংটন! দাবি বাইডেনের মুখপাত্রর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : এই মুহুর্তে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi’s Case) নিয়ে তুলকালাম জাতীয় রাজনীতি। কিন্তু ব্যাপারটা আজ আর নিছক জাতীয় স্তরে সীমাবদ্ধ নেই। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা, সুরাতের আদালতের সাজা ঘোষণা এবং সাংসদ পদ খারিজ, এই গোটা পর্বের উপর নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের (White House) মুখপাত্র জানান, ভারত ও আমেরিকা (America) মত প্রকাশের অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্নে অঙ্গীকার বদ্ধ। সেই পারস্পরিক বোঝাপড়ার সূত্রেই রাহুলের বিষয়টি মার্কিন প্রশাসনের নজরে রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সোমবার রাতে জানান, ভারতের সুরাতের আদালতের রায় ও পরবর্তী ঘটনাবলী সম্পর্কে আমরা অবহিত। তবে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত আর কোনও দেশ প্রতিক্রিয়া দেয়নি। মুখ বন্ধ রেখেছে ব্রিটেনও। সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে ভারতে গণতন্ত্র বিপন্নতার কথা বলে বিতর্কে জড়ান রাহুল। বিজেপি অভিযোগ তোলে কংগ্রেস নেতা দেশের বিষয়ে বিদেশের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন রাহুল।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার অল্পদিনের মধ্যেই গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করে তিনি এই ব্যাপারে নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দেন তখনই। রাহুলকে নিয়ে গোটা বিতর্ককে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা গণতন্ত্র বিপন্নতা হিসাবেই প্রকাশ্যে তুলে আনতে চেয়েছে।

rahul

রাহুলের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাসংদ পদ খারিজের মতো ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন কেন নজর রাখছে সেই বিষয়টিও পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র। প্যাটেল বলেন, আমাদের যে সব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে সেখানে বিরোধী দলগুলির বিষয়েও আমরা ওয়াকিবহাল থাকি। তিনি আরও দাবি করেন ফের ভারত-মার্কিন সম্পর্কের মধ্যে বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হল গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাই এটিকে রক্ষা করতেই হবে।

তবে রাহুল গান্ধীর ঘটনায় আমেরিকা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলেই জানিয়েছেন বেদান্ত। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাই আসলে গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর। তবে রাহুল গান্ধীর ঘটনায় আমেরিকার তরফে কোনও মতামত নেই। আমরা ঘটনাবলির দিকে নজর রাখছি।’ তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিচারব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে আসলে সুরাট আদালতের রায়কেই সমর্থন করল আমেরিকা।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর