বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে বিপর্যস্ত বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এছাড়াও ইউক্রেন দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই আমেরিকাসহ ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে বর্তমানে এক মার্কিন নেতার কথায় উঠে এল উল্টো সুর। ভবিষ্যতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমেরিকা যে ভাবা শুরু করেছে সে বিষয়ে এদিন মত প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্রের খবর, আমেরিকার ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেমো এদিন বলেন, “আমরা সবসময়ই চাই যে বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির বদল ঘটুক আর তা যদি সম্ভব হয়, তবে আমরা ভবিষ্যতে রাশিয়ার ওপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করব। বর্তমানে রাশিয়া যদি ইউক্রেনের ওপর তাদের ভয়ঙ্কর হত্যালীলা বন্ধ করে, তবেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
মার্কিন সেক্রেটারির এই মন্তব্যের পর তোলপাড় হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিশোধিত তেল এবং গ্যাসের জন্য আমেরিকাসহ ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার ওপর বর্তমানে নির্ভরশীল। রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত ব্যবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ করার ফলে বর্তমানে তীব্র সংকটে ভুগছে তারা আর সে কারণেই আমেরিকা নমনীয় মনোভাব দেখানো শুরু করেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সূত্রের খবর, আগামীকাল ওয়াশিংটনে জি-20 দেশ গুলি একটি বৈঠক আয়োজন করতে চলেছে এবং পাশাপাশি জি-7 দেশগুলির প্রতিনিধিরাও নিজেদের মধ্যে বৈঠক সারবেন বলে খবর। স্বভাবতই, সেই বৈঠকের দিকে বর্তমানে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও রুশ তেল এবং গ্যাস-এর বিকল্প যে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেটাই বর্তমানে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল জি-7 বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে জার্মানি। সম্প্রতি, রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ক্ষুব্ধ জার্মানি এই বৈঠকে ভারতকে ডাকবে না হলেও একটি জল্পনা রটে, পরে অবশ্য তারা সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে আগামীকালের বৈঠকের দিকে যে ভারতেরও নজর থাকবে, তা অনস্বীকার্য।