বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মার্কিন সফর। রাজকীয় এই সফরে প্রতিরক্ষা বিষয়ক একাধিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এই চুক্তির পর আরও মজবুত হতে চলেছে ভারত (India) আমেরিকার (America) সম্পর্ক। এটাই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) জন্য।
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার এই প্রতিরক্ষা বিষক সম্পর্কে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে পাকিস্তানের। পড়শি রাষ্ট্রের দাবি আমেরিকা যে ভাবে ভারতকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তা তাদের জন্য খুবিই চিন্তার বিষয়। এই ভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ভারতে পৌঁছলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে এমনই দাবি তাদের।
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ করা হয় আমেরিকার সঙ্গে। পাকিস্তানের দাবি ভারত ইচ্ছে করে আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যাতে, পড়শি দেশ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। ভারতের এই সিদ্ধান্ত এশিয়া মহাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিস্থাপকতাকে মারাত্মক ভাবে আঘাত হেনেছে।
পাকিস্তান অভিযোগ জানিয়ে বলে, আমেরিকা থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেয়ে ভারত যুদ্ধের জন্য উৎসাহি হয়ে উঠবে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে পাকিস্তানের উপর। ইসলামাবাদের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার উপর প্রশ্ন চিহ্ন পড়ে যাবে। অসম্ভব হয়ে যাবে ভারতকে শান্ত রাখা এমনই দাবি পাকিস্তানের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সফরের সময় ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সফর একাধিক বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড –এর হালকা যুদ্ধ বিমান বা তেজস এমকে-২ জঙ্গি বিমানের জন্য জেনারেল ইলেকট্রিক নির্মিত এফ৪১৪ জেট ইঞ্জিন প্রযুক্তি হস্তান্তর ছাড়াও ভারতের ডিফেন্স অ্যাকুইজেশন কাউন্সিল (ডিএসি) ভারতীয় সশস্ত্র সেনার তিনটি বাহিনীর জন্য জেনারেল অ্যাটমিক্স (জিএ) নির্মিত ৩১ এমকিউ–৯বি সশস্ত্র ড্রোন কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে।