বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমেরিকা (America) ও চিনের (China) পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে বড় দাবি করল আমেরিকা। এই দুই শক্তিধর দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে সরকারের অনেক দায়িত্ব রয়েছে বলেই মনে করে হোয়াইট হাউস। তবে, এশিয়ার পরষ্পর বিরোধী এই দুই রাষ্ট্রের প্রশংসাই এদিন করলেন আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান।
সিআইএ-এর প্রধান বিল বার্নস এদিন বলেন, ‘চিন এবং ভারত এই দুই দেশই তাদের বিরোধী রাজনৈতিক দলকে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়ে স্পষ্ট করেই জানিয়েছে।’ আর এই কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের রাষ্ট্রপতি জিন পিং-এর প্রশংসাও করলেন তিনি। বিল বার্নসের এই মন্তব্য রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ঘটনাচক্রে দিন দুয়েক আগেই রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে আমেরিকার স্বরাষ্ট্র সচিব ব্লিংকেন উইক্রেনের উপর পারমাণবিক হামলা না করার আবেদন জানান। আর এর পরই ভারত এবং চিনকে পারমানবিক অস্ত্র প্রসঙ্গে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন সিআইএ প্রধান বিল বার্নস। তিনি বলেন আমেরিকা চিন এবং ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেছে রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য।
সিআইএ প্রধান এদিন বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে চিন এবং ভারত কোনও রকম পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে নেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের রাষ্ট্রপতি জিন পিংকে এর জন্য ধন্যবাদ দেওয়া যায়।’ বার্নস এদিন আরও বলেন, ‘রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এখনও যথেষ্ট হিংসাত্মক এবং উদ্ধত।’ পুতিনের বিরুদ্ধে এদিন নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিল বার্নস।
তবে বিলি বার্নস এদিন চিনের সমালোচনাও করেন কয়েকটি ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, ‘চিন এখনও রাশিয়া অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। আমেরিকা বারবার বলার পরও কথা শোনেনি ড্রাগন। রাশিয়াকে অস্ত্র সরবাহ বন্ধ করতে একেবারেই ইচ্ছুক নয় জিনপিং সরকার।’ মিউনিখ সুরক্ষা সম্মেলনের মঞ্চ থেকে চিনকে সাবধান করে দেন বিল বার্নস। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘রাশিয়া অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করলে তার ফল ভুগতে হবে চিনকে।