বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের জয়জয়াকার। এবার ন্যাটো প্লাস (NATO Plus)-এ ভারতকে (India) অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়ে সুপারিশ করল মার্কিন কংগ্রেসের (US Congressional Committe) একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। শীঘ্রই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তার আগে মার্কিন কংগ্রেসের কমিটির এমন সুপারিশে স্বাভাবিক ভাবে চাঞ্চল্য আন্তর্জাতিক মহল।
প্রসঙ্গত, ‘NATO Plus’ আদতে হল ‘NATO Plus 5’। ‘NATO’ ভুক্তদেশগুলির পাশাপাশি আরও পাঁচটি দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বোঝাপড়া তৈরি করে রাখাই এই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। এই পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, জাপান, ইজরায়েল এবং দক্ষিণ কোরিয়া। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী করতেই এই ন্যাটো প্লাস (NATO Plus)- র ভাবনা।
এবার সেই তালিকাতেই ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখল মার্কিন কংগ্রেসের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। এর ফলে গোষ্ঠীভুক্ত বাকি দেশগুলির সঙ্গে গোয়েন্দাতথ্য কোনও ধরনের মসৃণভাবে দেওয়া নেওয়া করতে পারবে ভারত। অন্যান্য দেশগুলির সামরিক প্রযুক্তি আরও সহজেই ভারতের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে লড়াইয়ে জয় এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হলে, আমেরিকাকে ভারত-সহ তার বন্ধুদেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরাল করতে হবে। ভারতকে ন্যাটো প্লাস-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করলে দু’দেশের সম্পর্ক তো জোরাল হবে। এরই পাশাপাশি বিশ্বের নিরাপত্তার দিকটিও বেশ শক্তিশালী হবে। সর্বোপরি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির দৌরাত্ম্যের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে’, বলা হয়েছে সিলেক্ট কমিটির রিপোর্টে। যে সিলেক্ট কমিটির সুপারিশে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে সেটি ‘চিন কমিটি’ বলেও পরিচিত।
মার্কিন কংগ্রেসে এই প্রস্তাবটি পেশ করেন সেদেশের সাংসদ রাজা কৃষ্ণমূর্তি। সিলেক্ট কমিটি বলছে, তাইওয়ানের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে প্রয়োজন আমেরিকার সঙ্গে তার সঙ্গীদের বন্ধনকে আরও মজবুত করা। মার্কিন কমিটি মনে করে, ন্যাটো প্লাসে ভারতকে আনলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বিশ্ব প্রতিরক্ষার দিক থেকেও তা লাভ এনে দেবে। উল্লেখ্য, গত ছয় বছর ধরে এই প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন মার্কিনি-ভারতীয় রমেশ কাপুর। আর তাঁর মতে এইটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ভারতকে কাছে টানতে ন্যাটো সদস্যদের সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য বিল পাশ হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসে। এক সময় বিশ্ব জুড়ে আধিপত্য স্থাপনের ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু সোভিয়েত ভেঙে যাওয়ার পর বর্তমানে চিন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।