বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত বছরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনীতিতে হয়েছে বিরাট পালাবদল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ে উঠেছে সেখানে। বাংলাদেশে হাসিনার পতনের জন্য আমেরিকার হাত থাকা অভিযোগ উঠেছে বারবার। এমনকি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এমন দাবি করতে দেখা গিয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে হাসিনা পুত্র এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমেরিকা দায়ী নয়।
বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পালাবদলে আমেরিকার অনুদান
এবার আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (DOGE) তরফে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল মার্কিন করদাতাদের। তবে এই অনুদান এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ডিপার্টমেন্টের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে একথা জানানো হয়েছে।
হাসিনা সরকারের পতনে মার্কিন উসকানি: উল্লেখ্য, DOGE-র নেতৃত্বে রয়েছেন এলন মাস্ক। এর আগে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে জমা করা আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সেই রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেই (Bangladesh) ফাঁদ পেতে রেখেছিল আমেরিকার একটি অংশ। তবে এই ইনস্টিটিউটের নামে ‘রিপাবলিকান’ থাকলেও ট্রাম্পের পার্টির সঙ্গে এর কোনো যোগ নেই। এখানে মূলত USAID অর্থ সাহায্য করত।
আরো পড়ুন : হাড্ডাহাড্ডি টক্কর জগদ্ধাত্রী-নিম ফুলের মধ্যে, সেরা নায়িকার পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন কে!
কী বলা হয়েছে রিপোর্টে: উল্লেখ্য, এর আগেই বাংলাদেশে (Bangladesh) অনুদান বন্ধ করা হয়েছিল USAID এর তরফে। তা পুনরায় চালু করার আবেদনে সাড়া দেননি ট্রাম্প। ওই রিপোর্ট মূলত ২০১৯ এর ১ লা মার্চ থেকে ২০২০ র ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের উপরে ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে উল্লিখিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা তৈরিতে ১৭০ জন গণতন্ত্রপন্থী তাদের ইনস্টিটিউটকে সহযোগিতা করেছিল। এদের নিয়ে নাকি ওয়ার্কশপ করানো হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, শিলেট এবং ঢাকার গ্রামীণ স্তরে চিহ্নিত করা হয়েছিল এই ১৭০ জনকে।
আরো পড়ুন : সিরিয়াল শেষের গুঞ্জন, ধারাবাহিক বাঁচাতে গল্পই বদলে দিল স্টার জলসা!
শুধু তাই নয়। এই সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) শিল্পী মহলের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করানোর বন্দোবস্ত করে ওই ইনস্টিটিউট। সে সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আমেরিকার অ্যাজেন্ডার ডকুমেন্টারি প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন সমাজসেবীদের অর্থ সাহায্য করা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের নিয়েও ওয়ার্কশপ করানো হয়েছিল। গণতন্ত্রের শিক্ষার আড়ালে সরকার এর প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিরোধী মনোভাব তৈরি করার কাজ ওই ইনস্টিটিউট করেছিল বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।