বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) বিষয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশই চীনের (Chaina) উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। চীনের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সব কিছু জানা সত্ত্বেও চুপ থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধেও উঠছে নানা প্রশ্ন। এবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিলেন WHO কে আর কোন অর্থ সাহায্য করবে না আমেরিকা। এছাড়া আমেরিকা দাবী করে WHO হল ‘চীনের এক বড়ো সমর্থক’।
মারণরোগ করোনা ভাইরাসের ফলে আমেরিকা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। আমেরিকায় এই ভাইরাসের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার অতিক্রম করে গেছে। এই অবস্থায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাঁর দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি ভারতের থেকেও সাহায্য চেয়েছেন। আবার তাঁর এই সাহয্য চাওয়ার ভঙ্গিমা নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তব এবার WHO কে আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত করতে চলেছে আমেরিকা।
ট্রাম্পের দাবী, ‘করোনা ভাইরাসের ফলে যখন তিনি চীনের সঙ্গে বিমনা পরিষেবা বন্ধ রাখতে চেয়েছিলেন, তখন WHO তাঁকে সমর্থন করেনি। WHO তখন চীনের করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সব কিছু জানা সত্ত্বেও চীনকে সমর্থন করেছিল’।
এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প WHOকে হুমকির সুরে বলেন, ‘আমরা WHO কে প্রায় 5.8 কোটি ডলার দি। আবার কখনও এর থেকে অনেক বেশি অর্থও দি। কিন্তু বর্তমানে চীনকে সাহায্য করার জন্য আমরা তাঁদের এই অর্থ আর দেব না। আমেরিকা থেকে WHO কে অর্থ পাঠানো হয়, তা আর পাঠানো হবে না। বর্তমানে চীনের একজন বড়ো সমর্থক হল WHO’।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এই বিষয়ে মিডিয়া প্রশ্ন করলে, তিনি কথাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, ‘না, আমি এই কথা বলিনি। আমি বললাম যে, আমরা এই বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখব’।
আবার আমেরিকার রিপাবলিকান সেনেটর মার্থা ম্যাস্কসেলির মতানুসারে, নেতৃবৃন্দ WHO এর ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেডোসের এখন পদত্যাগ করা উচিত। চীনের করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকার জন্য চীনের মতই সমান দোষী WHO। শুধু তাই নয় ট্রেডোস চীনের করোনা ভাইরাসের রেসপন্সের বিষয়ে চীনের ট্রান্সপেরিন্সিরও প্রশংসা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে ম্যাস্কসেলি বলেন, তিনি কোন দিন কোন কমিউনিস্ট সরকারের উপর ভরসা করেননি। চীনের সরকার নিজের দেশের তৈরি হওয়া করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সকলের থেকে লুকিয়ে যাওয়ার ফলে এই ভাইরাসের কারণে আমেরিকা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এই কারণেই ট্রেডোসের পদত্যাগ করা উচিত।