বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘটনার সূত্রপাত অষ্টমীর রাত থেকেই। প্রথম আঘাত হানা হয় বাংলাদেশের (bangladesh) কুমিল্লার এক দুর্গা পুজো মন্ডপে। কোরান অবমাননার অভিযোগে প্রতিমার উপর আঘাত হানা হয়। এখানেই শেষ নয় এরপর একে একে বেশকিছু জায়গায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে মাতৃপ্রতিমা।
শুধু মাতৃ প্রতিমাই নয় রংপুর, কুমিল্লা, ফেনি-সহ একাধিক জায়গায় পুড়েছে হিন্দুদের ঘরবাড়ি। আবার আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশের নোয়াখালির ইসকন মন্দিরও। সেখানে আবার ইসকন মন্দিরের এক সদস্য-সহ খুন হয়েছেন চারজন সংখ্যালঘুও। সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ে বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে বাংলাদেশে। সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্ব।
এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সুদূর মার্কিন মুলুক। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের শীর্ষকর্তা বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের নিরাপদে নিজেদের উৎসব পালনের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতি নিন্দা বর্ষণ করছে আমেরিকা। ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে প্রতিটি মানুষেরই’।
বাংলাদেশের এই হিংসার ঘটনার দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রশাসন। পদ্মাপারে যে হারে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে করে সত্তরের দশকের সেই অত্যাচারের নারকীয় অধ্যায়ের চিত্র সামনে চলে আসছে। বাংলাদেশের এই ঘটনায় ভারতও গর্জে উঠেছে। সামিল হয়েছে একাধিক প্রতিবাদে।