আক্রোশ মুডে ট্রাম্প প্রশাসন, চীনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় যুদ্ধ প্রশিক্ষণ করল আমেরিকা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণে জেরবার আমেরিকা (America) এবার চীনের বিরুদ্ধে তার শক্তি প্রদর্শন করছে। ইউরোপীয় বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনী জাপান সংলগ্ন গুয়াম বিমানবন্দর, মার্কিন বিমানবাহিনী বোমারু বিমান, বিমানবাহী বাহক এবং যুদ্ধজাহাজ চীনের বিরুদ্ধে তাঁদের শক্তি প্রদর্শ করছে। তারা চীনের তাইওয়ান ও জাপানের কাছাকাছি অঞ্চলে এই কাজ করছে। যার ফলে চীনকে যে কোন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বার্তা দিল আমেরিকা।

01 20200106022511

যখন একটি বিমানবাহিনী বুঝতে পারে যে কোনও শত্রু দেশ তাঁদের আক্রমণ করতে চলেছে, তখন বিমান বাহিনী তার যোদ্ধাদের একটি প্রশিক্ষণ দেয়। যাতে করে তারা দ্রুততার সাথে শত্রু পক্ষকে আক্রমণ  করতে পারে। যুদ্ধের এই ধরণটিকে এলিফ্যান্ট ওয়াক বলা হয়। বর্তমানে আমেরিকা করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে চীনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কৌশল করতে নিজেদের শক্তিশালী তৈরি করছে।

সোমবার মার্কিন বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনী এক ডজন বিমান নিয়ে তাদের অ্যান্ডারসন এয়ারফোর্স বেসে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ চালাচ্ছিল। পূর্ব চীন থেকে প্রায় ১৮০০ মাইল দূর অবস্থিত এই ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের অধীনে গুয়াম বিমানবন্দর। মার্কিন সেনারা সেখানে আরকিউ গ্লোবাল হক ড্রোন, পাঁচটি বি -৫২ বোম্বার বিমান এবং বিমানের ট্যাঙ্কার প্রদর্শন করেছিল।

aaaaaaaaaaaaaaa

পূর্বে তাইওয়ানের ঠিক কাছেই বিমান বিমানবাহী ও যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ করে তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল চীন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছিল, চীনের বিমানবাহী বাহক লিয়াওনিং এবং অন্যান্য ৫ টি যুদ্ধজাহাজ প্রথমে জাপান সংলগ্ন মিয়াকো স্ট্রিটের মধ্য দিয়ে তাইওয়ানে প্রবেশ করে। চীন কখনই তার শত্রু দেশকে ছেড়ে কথা বলে না। সবসময় বদলা নেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে থাকে। চীন এর আগেও বহুবার এই সুযোগ নিয়েছে। আর এখন করোনা ভাইরাসের মধ্য দিয়ে সেই সুযোগকে খুঁজে নিচ্ছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর