বাংলাহাণ্ট ডেস্কঃ ফের উত্তপ্ত ইরান – আমেরিকা সম্পর্ক। গত কয়েকদিন ধরেই ইরান ও আমেরিকার মধ্যে পারদ ক্রমশও চরছিল। পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায় মার্কিন ফৌজ বাগদাদ বিমানবন্দরে হামলা চালালে। ইরানের এলীট গার্ড ফোর্সের প্রধান কমান্ডার কাসেম সুলেমানি মারা যান। এর পরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। পাল্টা জবাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি টুইট করে বলেন আমেরিকার কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির ওপর আঘাত এলে ইরানকে ছেড়ে কথা বলা হবেনা। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। ইরানের ঘাঁটি গুলীতে দ্রুত আক্রমণ করা হবে বলেও ট্রাম্প এদিন হুঁশিয়ারি দেন ।
শুক্রবার বাগদাদের বিমান বন্দরে রকেট হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের তিনজন শীর্ষস্থানীয় সেনা আধিকারিক সহ ১০ জনের। এর মধ্যে ছিলেন প্রধান কমান্ডার কাসেম সুলেমানি, বিমানবন্দরের প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদা এবং ডেপুটি কম্যান্ডার আবু মেহেদী। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার ইরান মার্কিন দূতাবাসের কাছে রকেট হামলা চালায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ আমেরিকা।তাদের কোন ক্ষতি করলে বা ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তার ফল ভুগতে হবে। প্রতি বছর সামরিক সরঞ্জামে অনেক টাকা ব্যয় করে আমেরিকা। তাদের উপর আক্রমন করা হলে নতুন সুজ্জিত সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে দুবার ভাবা হবে না বলে হুংকার ছেড়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইরানের ৫০ টি ঘাঁটিতে লক্ষ্য স্থির করেছে মার্কিন বাহিনী বলে এদিন ইরানকে সতর্কও করেছেন।
শনিবার ইরাকে আমেরিকার সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর রকেট হামলা চালায় ইরানের বায়ুসেনা। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে হামলায় বহু সেনা-জওয়ানের মৃত্যু ঘটতে পারে । শুক্রবার বাগদাদের বিমান বন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় কমান্ডার সুলেমানি ও প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদার মৃত্যুর পর এই নিয়ে মোট তিনবার মার্কিন বাহিনীর উপর হামলা চালাল ইরান। এই অবস্থায় ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশিষ্ট মহল।