বাংলাহান্ট ডেস্ক : কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। গত কয়েকদিন ধরে গোটা বিশ্বের নজর ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। ট্রাম্প নাকি কমলা, পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে চলছিল চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আমেরিকার (USA) নয়া আপডেট
তবে অবশেষে মার্কিন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছেন রাষ্ট্রপতি হিসাবে। তবে ট্রাম্পের বিজয়ের পর রীতিমত চিন্তার ভাঁজ সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের কপালে। পূর্ব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প বাস্তবায়নের পথে হাঁটেন, তাহলে অনিশ্চিত হতে চলেছে আড়াই লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূতের ভবিষ্যৎ।
তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমেরিকায় (USA) বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের।আমেরিকার অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওয়াকিবহালমহল বলছে, শুধু অভিবাসীরা নন, ট্রাম্পের নিশানায় রয়েছেন আমেরিকায় যারা কোনও না কোনও ভাবে আইনিসিদ্ধ ভাবে ভিসা নিয়েও বসবাস করছেন তারাও।
আরোও পড়ুন : লাগাতার ধর্ষণ আর হাতবদলের পর নির্যাতিতার মেয়ের বাবা কে? জানতে ৪ অভিযুক্তের DNA টেস্ট
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে প্রথম দিনেই আমি যে আইন নিয়ে আসব, তাতে আমেরিকার ইতিহাসে সব থেকে বড় নির্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, সে দেশে যারাই জন্মগ্রহণ করে তারাই জন্মসূত্রে আমেরিকান। তবে ট্রাম্প চাইছেন জন্মসূত্রে আমেরিকান সিটিজেনশিপ (American Citizenship) পাওয়ার নিয়মের বদল।
জানা যাচ্ছে, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই ট্রাম্প স্বাক্ষর করবেন একটি ‘এগ্জ়িকিউটিভ অর্ডার’-এ। সেই অর্ডার অনুযায়ী, যেসব অভিবাসী সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্মেছে, তারা ‘জন্মসূত্রে’ আর আমেরিকান থাকবে না। মা-বাবার মধ্যে অন্তত একজনকে আমেরিকান হতে হবে সে দেশে ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পাওয়ার জন্য।
আরোও পড়ুন : ‘কেউ কেউ আছে..,’ চাপ বাড়ছে কেষ্টর? এবার বড় ‘অভিযোগ’ উঠে এল তৃণমূল তরফেই!
অন্যদিকে, প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয় অপেক্ষা করে রয়েছেন গ্রিন কার্ডের জন্য। সরকারি হিসাব বলছে, তাদের অন্তত আরো ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হবে গ্রিন কার্ড হোল্ডার হওয়ার জন্য। স্বাভাবিক অংকের নিয়মে ধরে নেওয়া যেতে পারে তাদের মধ্যে ৫ লক্ষের সেই সময়সীমার আগেই মৃত্যু হবে। ফলে নতুন আইনের গ্যাঁড়াকলে অন্তত আড়াই লক্ষ অভিবাসী সন্তান হারাতে পারেন নাগরিকত্ব।