বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর থেকেই ভারতের ওপর পাল্টা আঘাত হানতে উদ্যত পাকিস্তান (India-Pakistan)। বুধবার থেকে দেশের নানান শহরকে ‘টার্গেট’ করছে তারা। বৃহস্পতিবার সীমান্তবর্তী একাধিক রাজ্যে ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়। অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ বার ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তবে প্রত্যেকবারই তা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানাল বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) ও ভারতীয় সেনা (Indian Army)।
সেনাছাউনিকে নিশানা করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান!- (India-Pakistan)
এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং। কর্নেল কুরেশি এদিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ভারতের সেনাছাউনিকে নিশানা করার চেষ্টা করে। এদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল তারা। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখায় ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করেছে পাক সেনা। ভারতের ৩৬টি জায়গায় অন্ততপক্ষে ৩০০-৪০০ বার ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা’।
কর্নেল কুরেশি আরও জানান, গোপনে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল পাকিস্তান। গতকাল একাধিক পাক ড্রোন নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেগুলি তুরস্কের।
আরও পড়ুনঃ ভারতের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারবেন তসলিমা নাসরিন! অনুমতি দিয়ে দিল বিদেশ মন্ত্রক
এর পাশাপাশি ভাটিন্ডার সেনাছাউনিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই প্রয়াসও ভেস্তে দেয় ভারতীয় সেনা (India-Pakistan)। পাল্টা ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানের ৪টি বিমানঘাঁটিকে নিশানা করা হয়। সেখানে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালায় ভারতীয় সেনা।
বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়, ৭ মে ড্রোন হামলা ব্যর্থ হলেও পাকিস্তান নিজেদের আকাশসীমা খোলা রেখেছে। নিজেদের বেসামরিক বিমানকে তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলে দাবি করে ভারত। উইং কম্যান্ডার সিংয়ের দাবি, পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে সেনাঘাঁটি উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান।
অন্যদিকে বিদেশ সচিব মিস্রী (Vikram Misri) বলেন, পাকিস্তান বিশ্বকে ভুল ব্যাখ্যা করছে। সেদেশের তরফ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তারা কোনও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালায়নি। তবে পুঞ্চের একটি গুরুদ্বারে হামলা করার চেষ্টার কথা আগেই সামনে এসেছে। তিনি বলেন, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়ো দাবি করে ভারতের কাঁধে দায় চাপাতে চাইছে তারা।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমান অবস্থার দিকে নজর রেখেছে কর্তারপুর সাহেব করিডর বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা অবধি এটি বন্ধই থাকবে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। একইসঙ্গে বলা হয়, ৭ মে ভোরবেলা পাকিস্তানের ব্যাপক শেলিংয়ের জেরে মৃত্যু হয়েছে পুঞ্চের দুই পড়ুয়ার। আহত তাঁদের মা-বাবা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা (India-Pakistan)। তারপর থেকেই একের পর এক আঘাত হানছে পাকিস্তান। মোক্ষম জবাব দিচ্ছে ভারতও। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের তরফ ৩০০-৪০০ টি ড্রোন হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। সাংবাদিক বৈঠকে আজ এমনটাই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনা।