বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাদ্রাসা শিক্ষায় প্রচুর টাকা বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। এবার এই নিয়েই সমাজমাধ্যমে সুর চড়ালেন BJP-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এই নিয়ে সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানেই মমতা সরকারকে একহাত নিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের এই নেতা।
অমিতের অভিযোগ, মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দের নাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আসলে মুসলিম ভোট কিনছেন। তবে এতে কিন্তু রাজ্যের মুসলিমদের কোনও উত্থান ঘটছে না। BJP নেতা লিখেছেন, ‘মুসলিম ভোট কেনার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষায় ৫৫৩০ কোটির বিশাল বাজেট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই টাকা শেখ শাহজাহান, জাহাঙ্গির খান, শওকত মোল্লার মতো দুষ্কৃতীদের দ্বারা সন্দেহভোজন মওলানাদের হাতে যাবে। এই টাকা দিয়ে তাঁরা মুসলিম ভোট যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে যায় সেটা সুনিশ্চিত করবে’।
Mamata Banerjee’s decision to allocate an outsized 5,530 crore towards Madrassa education is nothing but budgetary allocation to purchase Muslim votes.
It will be routed through criminals like Sheikh Shahjana, Saukat Molla, Jenhangir Khan, among others, and dubious Maulanas, who…
— Amit Malviya (@amitmalviya) June 22, 2024
অমিতের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোষণের রাজনীতি করলেও বাংলার মুসলিমরা সম্পূর্ণ দেশের মুসলিমদের থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। আর্থিক দিক থেকেও তাঁদের অবস্থা ভালো নয়। BJP নেতা লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যদিও কংগ্রেস এবং বামেদের পর তৃণমূল ক্ষমতায় আছে। BJP এখানে কখনও ক্ষমতায় আসেনি। স্কুলছুট শিশুকন্যা এবং বাল্যবিবাহে এখনও দেশের সবচেয়ে ওপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ’।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA মামলা নিয়ে বিরাট আপডেট, কী জানাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট?
গেরুয়া শিবিরের নেতার দাবি, এখনও দিনমজুরিতে সবচেয়ে বেশি অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা। সংগঠিত ক্ষেত্রেও তাঁদের অংশগ্রহণ সবার কম। এমনকি পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবেও এই রাজ্যের মুসলিমদের সংখ্যা গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অমিত লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে অনুপ্রবেশের কারণে ভারতীয় মুসলিমদের অধিকার এবং জমিতে ভাগ বসেছে। মুসলিম মহিলাদের একটি বিরাট অংশ রাজ্য থেকে নারীপাচারের শিকার হন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার দাবি করেছেন তিনি মুসলিমদের কল্যাণে কাজ করেছেন। তবে আসলে উনি মুসলিম সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতীদের হাতে টাকা তুলে দিয়ে নিজের ক্ষমতা সুনিশ্চিত করতে চাইছেন। আর কিছুই নয়’।