বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক অভিযোগ তুলে চলেছে বিজেপি (BJP)। এক্ষেত্রে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করেই তাদের এহেন আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত, বিগত বেশ কিছু সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘খয়রাতি’-র অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।
একদিকে যখন বাংলায় কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্য সাথী এবং লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মতো একাধিক প্রকল্পগুলিতে সুবিধা পেয়ে চলেছেন সাধারণ মানুষ, সেখানে এগুলিকে খয়রাতি আখ্যা দেওয়া কোনমতেই উচিত নয়; গতকাল ঠিক এই ভাষাতেই ক্ষোভ উগড়ে দেন বাংলার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অমিত মিত্র (Amit Mitra)। তাঁর দাবি, “বিরোধীরা দিলে তা খয়রাতি হয়ে যায়, কিন্তু যদি প্রধানমন্ত্রী প্রদান করেন, তবে তা জনকল্যাণ! আসলে খয়রাতি প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে বিভ্রান্তি ফেলানো হচ্ছে। এগুলি কেবল প্ররোচনা। আসলে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্র সরকার আয়নায় নিজেদের মুখ দেখে চলেছেন। খয়রাতি প্রসঙ্গে যদি সমালোচনা করতেই হয়, তাহলে আগে নিজেদের সমালোচনা করা উচিত।”
গতকাল একটি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে অমিত মিত্র বলেন, “মোদী সরকার বর্তমানে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে খয়রাতির অভিযোগ তুলে চলেছে। আসলে এগুলি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তা মজবুত করে তোলে। প্রধানমন্ত্রী যদি এগুলিকে খয়রাতি বলে মনে করেন এবং মানুষের কল্যাণে শুরু করা প্রকল্পগুলি বন্ধ করতে চান, তবে উনি নিজে কি করছেন? বর্তমানে দেশে আটটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দ্বারা এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি কেন্দ্রীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সেগুলি কি আদতে খয়রাতি নয়?”
পরবর্তীতে অমিত মিত্রের গলায় উঠে আসে বাংলার একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী এবং লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলায় যে প্রকল্পগুলি শুরু করা হয়েছিল, সেগুলি মানুষের সহায়তা করেছে। করোনা মহামারীর সময় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বহু উপকার পেয়েছেন। ফলে বর্তমানে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা মিথ্যা। আমাদের কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মান পেয়েছে। এটা খয়রাতি কখনোই নয়।”
এছাড়াও কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তৃণমূল নেতা বলেন, “দেশের সকল কৃষকদের ৬০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও জাতীয় সহযোগিতা প্রকল্পের অধীনে ৯৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তবে এগুলি কেন খয়রাতি হবে না?”