হিন্দু বিরোধী এজেন্ডা নিয়ে চলা NGO গুলির ওপর একশন নিলেন অমিত শাহ

ভারতে বিদেশী ফান্ডিং প্রাপ্ত NGO গুলির উপদ্রব কম নয়। বহু জায়গায় এই NGO গুলি হিন্দুদের ধর্ম পরিবর্তন করে খ্রিষ্টানে কনভার্ট করার উপর কাজ করে। সরকার বিদেশী ফান্ডিংয়ে চলা এই সমস্ত NGO এর উপর লাগাম লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিদেশী ফান্ডিং আইন উলঙ্ঘন করার অপরাধে মোদী সরকার ১৮০৭ সংখ্যক NGO ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর একশন নিয়েছে।

images 2019 11 15T191030.452

রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ কৃষি ইনস্টিটিউট, ইয়াং মেনস ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, গুজরাট এবং স্বামী বিবেকানন্দ এডুকেশনাল সোসাইটি কর্ণাটক এমন সত্তা ও এনজিওগুলির মধ্যে রয়েছে যাদের বিদেশী অংশদান অধিনিয়ম (রেগুলেশন) আইনের আওতায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত অবৈধ অর্থ আটকানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “এফসিআরএ নিবন্ধন বাতিল হওয়ার সাথে সাথে সমস্ত বেসরকারী সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ফান্ডিং বন্ধ করা হয়েছে।”

কর্মকর্তারা বলেছেন যে বারবার অনুস্মারক সত্ত্বেও বার্ষিক 6 বছর অবধি আয়কর এবং বিদেশী তহবিলের বিষয়ে ব্যয়ের বিবরণ জমা না দেওয়ার কারণে এই সংস্থাগুলির এফসিআরএ নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এফসিআরএর বিধি অনুসারে, সংস্থাগুলিকে আর্থিক বছর শেষ হওয়ার 9 মাসের মধ্যে প্রতি বছর আয় এবং ব্যয়ের বিশদ, ব্যাংক থেকে প্রাপ্তি এবং লেনদেনের বিবরণ ইত্যাদির একটি স্ক্যান কপি সহ একটি অনলাইন বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।

 

এমনকি যেসব এনজিও নির্দিষ্ট অর্থ বছরে কোনও বিদেশী ফান্ডিং পান না তাদেরও ‘এনআইএল’ রিটার্ন দাখিল করা প্রয়োজন। ভারতে NGO গুলির একটা বড়ো সেক্টর রয়েছে। এখানে 33 লক্ষ নিবন্ধিত এনজিও রয়েছে। এই সমস্ত এনজিওর অর্থায়ন স্বচ্ছ নয় এবং কিছু বিদেশী এনজিও ফান্ডিং এর ব্যাবহার করে এজেন্ডা চালানোর কাজ করে যা প্রায়শই জাতীয় স্বার্থ এবং উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকারক হয়।


সম্পর্কিত খবর