বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাশ্মীর হামলার (Kashmir Attack) দুদিন পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ কিছুক্ষণ আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, কাশ্মীর হামলা এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে আগামীকালই শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জি ২০ কূটনীতিকদেরও কাশ্মীর হামলা নিয়ে অবহিত করা হয়েছে। সন্ধ্যা ছটায় রয়েছে বিশেষ বৈঠক।
কাশ্মীর হামলার (Kashmir Attack) পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে অমিত শাহ এবং জয়শঙ্কর
রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন’। জানা যাচ্ছে, কাশ্মীরে পহেলগাঁও হামলার বিষয়ে এবং বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানান তাঁরা।
২০ টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক: অন্যদিকে এদিনই ২০ টি দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইতালি, কাতার, চিন, জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স সহ মোট ২০ টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। কাশ্মীর হামলার (Kashmir Attack) বিষয়ে ৩০ মিনিট ধরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি।
আরো পড়ুন : টুরিস্ট স্পটগুলিতে নেই নিরাপত্তা! ঘটনার পর কী পরিস্থিতি কাশ্মীরে? ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনালেন বাঙালি পর্যটক
শুরু হয়েছে সর্বদল বৈঠক: সন্ধ্যা ছটা থেকে শুরু হয়েছে সর্বদল বৈঠক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠকেই বড় কোনো সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হতে পারে। আপাতত সে দিকেই নজর রয়েছে সব মহলের। পাশাপাশি আগামীকালই শ্রীনগর (Kashmir Attack) পৌঁছাচ্ছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
আরো পড়ুন : বিকল্প পেনশন স্কিমেও না-খুশ কর্মীরা, অস্বস্তি বাড়ল কেন্দ্রের
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি বড় প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। বন্ধ করা হয়েছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে যে পাকিস্তানিরা ভারতে রয়েছেন তাদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান এবং ভারত দুই দেশের হাই কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সামরিক পরামর্শদাতাদের। পাশাপাশি এতদিনের সিন্ধু জলচুক্তিও বাতিল করা হয়েছে। এদিনের বৈঠক প্রশ্ন তুলছে, এবার কি আরো বড় কোনো পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? সেই উত্তরের অপেক্ষাতেই রয়েছে দেশবাসী।