বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছত্তিসগড়়ের (Chhattisgarh) বিজাপুরে পুলিশের সাথে দুর্ধর্ষ লড়াই মাওবাদীদের। সূত্রের খবর, দুটি ভিন্ন এনকাউন্টারে প্রাণ গেছে ২২ জন মাওবাদীর। দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মীও। জানা যাচ্ছে, বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় এনকাউন্টার অভিযান।
ছত্রিসগড়ে (Chhattisgarh) এনকাউন্টারের পর অমিত শাহের (Amit Shah) বক্তব্য
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ছত্তিসগড় (Chhattisgarh) পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের যৌথ উদ্যোগে গঙ্গালুর থানা এলাকায় শুরু হয় অভিযান। বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর থানা এলাকায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। জঙ্গলের ভিতর থেকেই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উদ্দেশ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা।
আরও পড়ুন : গাড়িতে ধাক্কা, লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানোর অভিযোগ! ‘হেনস্থা’ হতেই পুলিশের দ্বারস্থ শুভেন্দু
ছত্তিসগড় ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক পুলিশ কর্মী প্রাণ হারান মাওবাদীদের ছোড়া গুলিতে। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত নিহত ১৮ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বীজাপুরের জঙ্গল থেকে। নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী বাজেয়াপ্ত করেছে প্রচুর পরিমাণ রাইফেল ও বিস্ফোরক। আরও চার মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কাঙ্কেরের জঙ্গল থেকে।
আরও পড়ুন : সাক্ষাৎ যম! মুহূর্তের মধ্যেই “শান্ত” করা যাবে চিন-পাকিস্তানকে, এবার ভারতীয় সেনার হাতে আসছে…..
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও দুপক্ষের মধ্যে চলছে গুলির লড়াই। মধ্যপ্রদেশের কানহা জাতীয় উদ্যানে বাঘের ডেরাতেও ঘাঁটি গেরেছিল মাওবাদীরা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর তরফে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় কানহা জাতীয় উদ্যানে। দুপক্ষের গুলি বৃষ্টিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কানহা টাইগার রিজ়ার্ভ। যৌথবাহিনীর সাথে লড়াইয়ে রবিবার দুপুরে প্রাণ যায় এক মাওবাদীর।
টাইগার রিজার্ভসহ সংলগ্ন এলাকায় অন্য মাওবাদীদের (Maoists) নাগাল পেতে রবিবার দুপুর থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত চলে চিরুনি তল্লাশি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, আগামী বছর মার্চের মধ্যেই দেশ থেকে মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর ছত্তিসগড়ের একাধিক এলাকায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্যের মুখ দেখেছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশ থেকে নকশালবাদকে শেষ করে দেব। যাতে তাঁদের জন্য দেশের কোনও নাগরিককে প্রাণ হারাতে না হয় সেই ব্যবস্থা করছি আমরা। এই জন্য আমি আমার সংকল্প গ্রহণ করছি।’