বাংলা হান্ট ডেস্ক: বহুবার নিজের বিভিন্ন বক্তব্যে এনআরসি নিয়ে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফের একবার, এবার মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ভোটের আগে আবার সেই এনআরসি নিয়ে আবার একবার মানুষকে সচেতন করা শুরু করেছেন অমিত শাহ। শুধু তাই নয় এবার এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ৩৭০ ধারা বাতিল, রাফাল যুদ্ধবিমানের মতো বিষয়গুলিও।
তবে শুধুমাত্র বিধানসভা নির্বাচন নয় ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বিভিন্ন মত তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হুমকির সুরে তিনি জানিয়েছেন ‘আজ আমি আপনাদের বলতে চাই, ২০২৪ সালে আবার আমরা আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসব। কিন্তু তার আগে দেশের সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বেছে তাড়ানো হবে।’ শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদসহ আরও বলেছেন, ‘৭০ বছর ধরে অনুপ্রবেশকারীরা দেশে প্রবেশ করে চলেছেন। প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে নিরাপত্তার ভিত আরও দুর্বল হয়েছে। এনআরসি লাগু করে দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বের করা হবে। এ ব্যাপারে বিজেপি ও মোদীজি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার কয়েকদিন আগে এনআরসি নিয়ে রীতিমতন হুমকির সুরে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘আপনি ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, আমেরিকায় গিয়ে যদি থাকতে চান, কেউ থাকতে দেবে না। তাহলে কেন কেউ ভারতে এসে থাকতে পারবেন? যে কেউ এসে ভারতে থেকে যেতে পারবেন? এভাবে তো দেশ চলে না। আমাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যে আমরা শুধু আসামে নয়, গোটা দেশে এনআরসি করব। সেই অনুযায়ীই আমরা এগোব।’
প্রসঙ্গত, অন্যদিকে পশ্চিমবাংলাতেও NRC নিয়ে নিয়ে রীতিমতো বেড়েই চলেছে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। কয়েকদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করেন, ‘ভোটে টান পড়েছে, তাই NRC নিয়ে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল। তবে তৃণমূল কেন, খোদ মমতা ব্যানার্জি রাস্তায় নামলেও NRC আটকাতে পারবেন না।’
সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ বাবু বলেন, “TMC-র এখন ভোটে টান পড়েছে। তাই রাস্তায় নেমে ভয় দেখানো শুরু করেছে তারা। এতদিন মুসলমানদের ভয় দেখাচ্ছিল, এখন হিন্দুদের ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি নিজের বক্তব্য থেকে সরবে না আগেও আমরা যা বলেছি এখনও তাই বলব। কোনও হিন্দু উদ্বাস্তুকে ভারত থেকে কেউ তাড়াতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের এখানে থাকতে দেওয়া হবে না।”
এদিন দিলীপ আরও বলেন, “যদি মমতা ব্যানার্জি নিজে রাস্তায় নামেন, তাও তিনি এটা আটকাতে পারবেন না। যেভাবে তিনি নোটবাতিল, GST, তিন তালাক বিল, 370 আটকাতে পারেননি, সেভাবেই NRC হলেও আটকাতে পারবেন না। এখন কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনায় দু’লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই টাকা পাওয়ার জন্য যে’ই মরছে, বলে দিচ্ছে NRC । বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মঘাতী হলেও বলে দেওয়া হচ্ছে NRC। পাগল কুয়োয় লাফ দিলেও হয়ে যাচ্ছে NRC।”