বাংলা হান্ট ডেস্ক : দলীয় বৈঠকেই অমিত শাহ শহরের পুজো উদ্বোধনের কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনিতেই নজরুল মঞ্চে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ। 1 অক্টোবর তারিখে অমিত শাহের বক্তব্য রাখার কথা। তবে তার আগেই নাকি দলের শহরের বিভিন্ন বড় বড় পুজো কমিটির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্বোধনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
তবে এবার শোনা যাচ্ছে দলীয় বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন পুজো উদ্বোধন করবেন, তার সঙ্গে সল্টলেকের বি জে ব্লকের পুজো উদ্বোধনের অনুমোদন পেলেন অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, দলীয় বৈঠকে বি জে ব্লকের পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি।এমনিতেই অমিত শাহকে কলকাতার বড় কয়েকটি দুর্গাপুজা উদ্বোধনে অমিত শাহকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। আর এই নিয়েই বিভিন্ন পুজো কমিটি গুলোতে অন্তর্দ্বন্দ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বি জে ব্লকের কমিটির মধ্যেই বচসা শুরু হয়।
শুধমাত্র বি জে ব্লক নয় কালীঘাট সংঘশ্রীতেও ব্যাপক সংঘাত তৈরি হয়েছিল অমিত শাহের পুজো উদ্বোধন নিয়ে। তবে শেষ অবধি বিজেপির হাতছাড়া হয়ে যায়। তবে যেহেতু পুজো কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় তাই বি জে ব্লকের পুজো আটকানো গেল না। পাশাপাশি পুজো সভাপতি তথা বিজেপি নেতা উমাশংকর ঘোষদস্তিদারের বক্তব্য, ‘কমিটিকে জানিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অমিত শাহকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত আমার একার নয়।’
কিন্তু সম্পাদক তাতে রাজী হননি। আর এতেই বাঁধে গোল। অবশেষে বৈঠকের মাধ্যমেই রফাসূত্র বেরোয়। তাই বি জে ব্লকের ঢোলকপুরের রাজপ্রাসাদ উদ্বোধন করবেন মোদীই। যেখানে ছোটা ভীম, ছুটকি, রাজু থেকে টিনটিন-সহ বিভিন্ন কার্টুন চরিত্রে সেজে উঠবে এই পুজোমণ্ডপ। তাই পুজোর প্যান্ডের আকর্ষনীয়তার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেধনেও নতুন চমক আনতে চাইছে পুজো উদ্যোক্তারা। তবে শোনা যাচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি পুজো উদ্বোধনে ডাক পড়তে পারে শাহের। যদিওতা জল্পনাধীন। তবে পুজোকে হাতিয়ার করে বিজেপিতে যে ঝাঁপাতে চেয়েছিল তা কিন্তু শেষ অবধি হল না।