বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উৎ-শব! ২৩ গ্রাম বাংলার নির্বাচনের বিবরণ দেওয়ার জন্য এই একটি শব্দই যথেষ্ট। গতকাল ছিল পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। গণতন্ত্রের উৎসব। কী দেখা গেল সেই উৎসবে? দেখা গেল ভোট লুঠ, দেদার ছাপ্পা, পিস্তল উঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি! সন্ত্রাস, বোমাবাজি! আর তার জেরে শুধুমাত্র কালকের দিনে চলে গেল ১৪ টি তরতাজা প্রাণ। রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে এই একই চিত্র।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রের অমিত শাহ (Amit Shah), বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanata Majumdar) এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ফোন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
কেন ফোন? এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শীর্ষ নেতৃত্ব ফোন করে তাকে বলেছেn বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার সময় এসে গেছে। প্রসঙ্গত, গতকাল গণতন্ত্রের উৎসবের নামে চলেছে প্রহসন। প্রাণ হারিয়েছে শাসক-বিরোধী উভয়েই। অন্যদিকে নীরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করেছে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
ভোটে অবাধ সন্ত্রাস-হিংসা দেখে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের অফিসে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। পরে সন্ধ্যা হতেই কালো ব্যাজ পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কমিশন চত্বর। সেইসময় ভিতর থেকে দোতলার কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হলে, সেই দরজায় উত্তেজিত হয়ে লাথিও বসিয়ে দেন শিশির পুত্র।
এরপর কমিশনের গেটের বাইরে তালা লাগিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করেন শুভেন্দু। চলে রাজ্যকে একাধিক হুঁশিয়ারি, চলে কমিশনারের বিরুদ্ধে স্লোগান। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোট কেমন হয়েছে সেই বিষয়ে জানতে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও পর পর ফোন করেন জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ। সূত্রের খবর, ভোট নিয়ে লিখিত আকারেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।