বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুদিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit shah)। শনিবার দিন মেদিনীপুরের মাঠে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান শুভেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দেগেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু এবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, বাংলায় এসে ৭ টি মিথ্যে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অমিত শাহ
বাংলার মানুষ আয়ূষ্মান ভারতের সুবিধা পায়নি।
ডেরেক ও’ব্রায়েন
আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করার ২ বছর আগে থেকে বাংলার ১.৪ কোটি পরিবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আয়ত্তায় বছরে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা করে পাচ্ছেন।
অমিত শাহ
৩০০ বিজেপি কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন গত দেড় বছরে।
ডেরেক ও’ব্রায়েন
বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে প্রাণ হারিয়েছেন। আর কেউ আত্মহত্যা করলেও, সেটাকে খুন বলে চালানো হচ্ছে।
অমিত শাহ
বাংলার কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের ৬ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ডেরেক ও’ব্রায়েন
রাজ্য সরকারের কিষান বন্ধু প্রকল্পে কৃষকরা ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে।
#FactCheck of the speech made in Bengal by the henchman of the “tourist gang”.
7 pieces of concocted, false info in one speech. Actually, by his standards, quite low! pic.twitter.com/MgvktqcFt3
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) December 20, 2020
অমিত শাহ
মমতা ব্যানার্জী নিজেই কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন, তিনি এখন অন্যদের দোষ দিচ্ছেন।
ডেরেক ও’ব্রায়েন
মমতা ব্যানার্জী কংগ্রেস ছেড়ে অন্য কোন দল নয়, ১৯৯৮ সালে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছেন।
অমিত শাহ
জেপি নাড্ডা যখন বাংলায় আসেন, তখন তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি।
ডেরেক ও’ব্রায়েন
জেড প্লাস নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল জেপি নাড্ডার জন্য। কিন্তু তারা নিয়ম ভেঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
অমিত শাহ
মোদী সরকার বাংলার মানুষের জন্য যে খাদ্যশস্য পাঠিয়েছে, তা বাংলার সরকার ঠিক মত দিচ্ছে না।
ডেরেক ও’ব্রায়েন
খাদ্য সাথী প্রকল্পে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১০ কোটি মানুষকে ফ্রিতে রেশন দিচ্ছে বাংলার সরকার।
অমিত শাহ
অনেক গরীব মানুষকে ঘর দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী
ডেরেক ও’ব্রায়েন
২০১১-২০ সাল পর্যন্ত কেন্দ্র রাজ্য মিলিতভাবে ৩৩,৮৭,০০০ ঘর তৈরি করেছে। খরচ হয়েছে মোট ৩৯,৯৯৩ কোটি টাকা। এদিকে রাজ্য ৩,৯০,০০০ ঘর তৈরি করেছে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে, তাতে ৩৫৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।