বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। দামামা বেজে গেছে লোকসভারও। কিন্তু নিজেরা একৈমত্য হতে পারছেন না কিছুতেই। ঐক্যবদ্ধ না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হওয়া একপ্রকার অসম্ভব। আগে দরকার দলের ঐক্য। কাজ করতে হবে একসঙ্গে, এক লক্ষ্যে। দলের পুরনো কর্মীদের অভিমান ভুলে কাজে নামার আহ্বান জানাতে হবে। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) এবং বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে (Saumitra Khan) নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
মঙ্গলবার সংসদে হঠাৎ সুকান্তকে ডেকে পাঠান শাহ। সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সঙ্গে নিয়ে শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বঙ্গের গেরুয়া শিবির যে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে তা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভালো মতোই জানে। রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতার মধ্যে যে মোটেও বনিবনা নেই তা আর অজানা নয় অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার (JP Nadda)। বাংলায় দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সামলানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে।
এর মধ্যেই চলছে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান চলছে। কতো সংখ্যক বুথে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে। আর কয়েকটা দিন পরই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বলা ভাল লোকসভার আগে অগ্নিপরীক্ষা। গ্রামের ভোটে ভালো ফল করতে না পারলে লোকসভাতে ভরা ডুবি হবে। এদিন সুকান্ত-সৌমিত্রকে (Soumitra Khan) সেটাই বুঝিয়ে দেন অমিত শাহ।
এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোটে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কত সংখ্যক বুথে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব। প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে গভীর আলোচনা হয় বলে বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর। তবে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে সুকান্ত মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, দু’জন রাজনৈতিক নেতা মুখোমুখি হলে যে ধরনের কথাবার্তা হতে পারে তাই হয়েছে। মূলত সাংগাঠনিক বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন অমিত শাহ এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই বৈঠককে ঘিরে উঠে আসে একাধিক জল্পনা। অনেকেই বলেন আরও বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বিজেপির তরফ থেকে রাজ্যের সংগঠনে বড় কোনও পদপ্রাপ্তি হতে পারে সৌমিত্রর। কিছুদিন আগেই মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী প্রকাশ্য জনসভা থেকে সৌমিত্র খাঁকে ‘বাঘের বাচ্চা’ বলে অভিহিত করেন। তাই সেই ‘বাঘের বাচ্চার’ দায়িত্ব বাড়তেই পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।