নাগরিকত্ব আইনকে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছে বাংলার বিজেপি (bjp), কিন্তু এবার উল্টো সুর শোনা গেল অমিত শাহের (amit shah) গলায়। করোনা সংক্রমণ থামানোর আগে যে CAA হবে না তা বাংলায় স্পষ্ট করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বোলপুরে অমিত শাহের স্পষ্ট বক্তব্য, আগে করোনার শৃঙ্খল ভাঙবে, ভারতীয়দের প্রত্যেককে টীকার ব্যাবস্থা করা হবে তারপরেই CAA.
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাংলায় অশান্তি কম হয় নি। ট্রেন জ্বালানো থেকে শুরু করে অবরোধ, মিছিল বাদ যায় নি কিছুই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হেঁটেছিলেন মিছিলে। স্লোগান তুলেছিলেন ‘ ক্যা ক্যা ছিঃ ছিঃ’ এর। শেষ পর্যন্ত বাংলায় কার্যকর হয় নি এই আইন।
এরপর বিধানসভা ভোটের আগে ফের একবার এই আইনকেই হাতিয়ার করেছিল বাংলার বিজেপি নেতারা। মতুয়া সহ সমস্ত শরনার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এই আশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল। কিছুদিন আগেই বারাসাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে যাবে CAA এর কাজ। কিন্তু বোলপুরে অমিত শাহের বক্তব্যের পর বঙ্গ বিজেপির সেই দাবি আপাতত বিশ বাঁও জলে। যদিও অনেকেই মনে করছে ভোটের আগে CAA নিয়ে অশান্তি হলে তার জন্য রাজ্যের শাসক দল দায়ী করতে পারে বিজেপিকে। তাই আপাতত তাকে শীতনিদ্রায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত।
এদিন, বীরভূমের বোলপুরে রোড শো করার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ প্রেস কনফারেন্স করেন। এই প্রেস কনফারেন্সে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আর রাজ্যের প্রশাসনকে তিনি নানান ইস্যুতে আক্রমণ করেন। অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রেরও অভিযোগ করেন। উনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নিজের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা করেন। তিনি যে করেই হোক অভিষেককেই মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চান।
কিছুদিন আগে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে বলেন, ‘যেভাবে তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির উপর হামলা করেছে, সেটা নিন্দনীয়। আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে এই ঘটনার নিন্দা করছি। অমিত শাহ বলেন, ‘বিজেপি গণতন্ত্রে সবাইকে নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়ায় বিশ্বাসী।” অমিত শাহ বাংলায় জারি হিংসা নিয়ে বলেন, বাংলা হিংসার মামলায় এক নম্বরে। শুধু হিংসাই নয়, দুর্নীতিতেও নাম্বার ওয়ান তৃণমূল শাসনে বাংলা