বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দেশে NRC, CAA আর ডিটেশন ক্যাম্প নিয়ে মুখ খুললেন। উনি বলেন। ডিটেশন সেন্টার (Detention Center) দেশে আছে, কিন্তু সেগুলো অবৈধ বিদেশিদের জন্য। অসমে যাদের নাগরিকতা সূচির বাইরে রাখা হয়েছে, তাঁদেরও ডিটেশন ক্যাম্পে রাখা হয়নি। তাঁরা নিজের ঘরেই রয়েছে। দেশে যেই ডিটেশন সেন্টার গুলো রয়েছে, সেগুলোতে এমন মানুষদের রাখা হয়েছে, যারা ভারতে অবৈধ কার্যকলাপ চালাতে গিয়ে ধৃত হয়েছে। যদি কোন ব্যাক্তিকে পাসপোর্ট ছাড়া ধরা হয়, তাহলে তাঁদের কোথাও তো রাখা হবে? সেই জন্যই এই ডিটেশন ক্যাম্প গুলো আছে।
ডিটেশন সেন্টার নিয়ে অমিত শাহ বলেন, এটি একটি লাগাতার চলা কার্যক্রম। উনি বলেন, যদি কোন বিদেশীকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে প্রথমে তাঁকে ডিটেশন সেন্টারে রাখা হয়, কারণ তাঁকে প্রথমেই জেলে রাখা যেতে পারেনা। অমিত শাহ বলেন, অসমে NRC তালিকার বাইরে থাকা মানুষদের ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে, তাঁরা এই ছয় মাসে ফরেন ট্রিবিউনালে নিজেদের পক্ষ রাখতে পারবে। ১৯ লক্ষ মানুষ সেখানে ডিটেশন সেন্টারে নেই, তাঁরা নিজেদের ঘরেই আছে। এমনকি তাঁদের কাছে যদি টাকা না থাকে, তাহলে তাঁদের আইনজীবীর খরচও ভারত সরকার দিচ্ছে।
অমিত শাহ বলেন, শুধু অসমে একটি ডিটেশন সেন্টার আছে যেটা সম্প্রতি বানানো হয়নি। এটা অনেক আগে থেকেই বানানো ছিল। উনি বলেন, কর্ণাটকের ডিটেশন সেন্টারের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্মাণ না হলে বলাও যাবেনা সেটা আদৌ কি। উনি এও বলেন যে, এটার সাথে NRC আর CAA এর কোন সম্পর্ক নেই। বহু বছর ধরেই অবৈধ নাগরিকদের জন্য ডিটেশন সেন্টারের মতো ব্যাবস্থা ভারতে আছে, আর সেগুলোকে এনআরসি’র জন্য বানানো হয়নি।
উনি বলেন, এখন যেসব ডিটেশন সেন্টারের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে উদ্বাস্তু না অবৈধ বিদেশীরা আছে। আমরা অসমে কাউকে রাখিনি, অসমের ডিটেশন ক্যাম্প নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমেরিকার মতো দেশেও এরকম ব্যাবস্থা আছে। সেখানে কোন অবৈধ বিদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করা হলে, তাঁকে এরকম ডিটেশন সেন্টারেই রাখা হয়। ডিটেশন সেন্টার এনআরসি’র জন্য বানানো হয়নি, এটা বহু বছর ধরেই আছে।