বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী মুখ কে এই নিয়ে বিতর্ক বহুদিন ধরেই চলছে। বিজেপি শিবিরের শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ এই তিনজনের মধ্যে একেক জন একেকজনের নাম বলবেন হয়ত এই প্রশ্নে। এমনকি দলের মধ্যেও এই বিষয়টি নিয়ে চলে টানাপোড়েন। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার সিউড়ির সভা থেকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছেন, বাংলার বিরোধী দলনেতা লড়াই করে যাচ্ছেন দিদির দাদাগিরির বিরুদ্ধে। প্রতিদিন তৃণমূল কংগ্রেসের (All India Trinamool Congress) চুরি-দুর্নীতিকে বেআব্রু করে দিচ্ছেন তিনি। সাম্প্রতিককালে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিভিন্ন সভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। এমনকি পুলিশ অফিসারদের নাম উল্লেখ করেও তিনি বিভিন্ন তথ্য পেশ করেছেন।
শুভেন্দুর বক্তৃতা থেকে জনগণের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে ভেতরের সব খবর আগে আসে তার কাছেই। এমনকি বিরোধী দলনেতাও দাবি করেছেন যে সরকারের ঘরে যা যা আলোচনা হয়, সব খবরই তার কাছে আগে আসে। এমন অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীকেই পরোক্ষভাবে বাংলার প্রধান তৃণমূল বিরোধী মুখ হিসেবে তুলে ধরলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলায় বিজেপির লড়াই এর জন্যই আজ জেলে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি।
সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। একদিকে যখন শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, ঠিক সেই সময় বিজেপিরই দিলীপ ঘোষ রাজ্যপালের ভূমিকার প্রশংসা করছেন। তবে ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করলেন তাতে দলের ভিতরে বিরোধী দলনেতার গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে।