বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যু তদন্তে সিবিআই (CBI) এর হস্তক্ষেপ চেয়ে পাঠানো চিঠি পৌঁছল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (amit shah) কাছে। লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদব সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি লেখেন অমিত শাহকে। সেই চিঠি প্রাপ্তি স্বীকার করে উত্তর দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
চিঠির প্রত্যুত্তরে অমিত শাহ লিখেছেন, ‘আপনার চিঠি ২০২০র ১৬ জুন পেয়েছি যার মাধ্যমে আপনি অভিনেতা সুশান্ত রাজপুতের আত্মহত্যা মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে করাতে চেয়েছেন। আপনার চিঠির বিষয় বস্তু কর্ম ও প্রশিক্ষণ বিভাগের অন্তর্গত। চিঠি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
অমিত শাহের পাঠানো এই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন পাপ্পু যাদব। তিনি লিখেছেন, ‘অমিত শাহজি আপনি চাইলে এক মিনিটে সুশান্ত মামলার সিবিআই তদন্ত হতে পারে। দয়া করে এড়িয়ে যাবেন না। বিহারের গৌরব অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত জির সন্দেহজনক মৃত্যুর জন্য সিবিআই তদন্তের অনুরোধ করেছিলাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।’
अमित शाह जी आप चाहें तो एक मिनट में सुशांत मामले की CBI जांच हो सकती है। इसे टालें नहीं!
बिहार के गौरव फ़िल्म अभिनेता सुशांत सिंह राजपूत जी की संदिग्ध मृत्यु की CBI जांच के लिए केंद्रीय गृह मंत्री जी को पत्र लिख आग्रह किया था।
उन्होंने कार्रवाई के लिए पत्र अग्रसारित कर दिया है। pic.twitter.com/MWsFBFNN8p
— Pappu Yadav (@pappuyadavjapl) July 14, 2020
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরও দুটি নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে। জানা গিয়েছে, পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি বাজিরাও মস্তানি ছবিতে শুধুমাত্র সুশান্তকে না বরং তাঁর প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডেকেও মূল চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরিচালককে পুলিসের জেরার সময় তিনি বলেন, সুশান্তকে ছবির প্রস্তাব তো তিনি দিয়েছিলেন কিন্তু অভিনেতা নিজেই তা ফিরিয়ে দেন।
অঙ্কিতা লোখান্ডের জন্যও ছবিতে একটি নাচের দৃশ্যের প্রস্তাব রেখেছিলেন যা ছবির মূল অংশ। কিন্তু তিনিও ফিরিয়ে দেন এই প্রস্তাব। এরপর বনশালি ওই নাচের দৃশ্যের প্রস্তাব অন্য কাউকে দেওয়ার বদলে ছবি থেকেই বাদ দিয়ে দেন।
অপরদিকে সুশান্তের আত্মহত্যার জায়গায় পাওয়া একটি লাল ব্যাগেরও রহস্য উদঘাটন করে ফেলেছে পুলিস। এই লাল ব্যাগটি নিয়ে কিছুদিন আগে থেকেই তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারন এমনই একটি লাল ব্যাগ দেখা গিয়েছিল সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহেশ শেট্টির কাছে। কিন্তু পুলিস তদন্ত করে জানায় যে ওই ব্যাগটি আসলে অভিনেতার দিদির। সুশান্তের বাড়িতে আসার সময় ব্যাগটিকে নিজের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর দিদি।
অপরদিকে সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে সলমনের ওপর একাধিক অভিযোগের আঙুল উঠলেও এবার তাঁরই নাম তদন্ত থেকে বাদ দিল মুম্বই পুলিস। সলমনকেও জেরার জন্য ডাকা হবে কিনা সেই নিয়ে চলছিল জল্পনা। এবার মুম্বই পুলিস সাফ জানিয়ে দিল জেরার জন্য সলমনকে ডাকা হবে না।