বাংলাহান্ট ডেস্ক : খুব শীঘ্রই বঙ্গ রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটবে। রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে দিয়ে বাংলায় রাজত্ব করবে গেরুয়া শিবির। রবিবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায় এমন কথাই শোনা গেল। রবিবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির শেষ দিনের বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বাংলার নামই বারবার টেনে আনলেন অমিত শাহ।
পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রস্তাব পেশের সময় অমিত শাহ বলেন, “খুব শীঘ্রই বাংলা ও তেলেঙ্গানা পরিবারতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পাবে।” তার বক্তব্যে তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসের মতো পরিবারতন্ত্র ভিত্তিক দলগুলোকে। সেই মঞ্চ থেকেই শাহর বক্তব্যে উঠে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের নামও, একইসঙ্গে তীব্র আক্রমণ শানাতে শুরু করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও।
অমিত শাহ বলেছেন, কংগ্রেস সহ সিংহভাগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি পরিবারতান্ত্রিক, দুর্নীতি, সুবিধাবাদী নীতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। অতীতে পরিবারতন্ত্র ও তোষণ নীতির মাধ্যমে ব্যালট বক্স নির্ধারণ হতো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চেষ্টায় তার থেকে দেশবাসীর কিছুটা মুক্তি মিললেও বর্তমান সময়ে নির্বাচন হচ্ছে পলিটিক্যাল পারফরমেন্স ও উন্নয়নকে ভিত্তি করে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, কেরালা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা,বাংলা, ওড়িশাতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসবে।
বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে বাংলাকে নিয়ে বিশেষভাবে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এর আগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহকে সেকেন্ড ইন কমান্ড করে ২০০ বেশি আসন ছিনিয়ে নেওয়াই লক্ষ্যমাত্রা ছিল বিজেপির। এমনকি, ভোট পূর্ববর্তী সময়ে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে নামও লিখিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু ভোট মেতেই দেখা গেল অন্য চিত্র। বিজেপির একের পর এক গোষ্ঠীকোন্দলে আশা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি তারা। দিল্লি থেকে বহু নেতা বাংলা বিজেপির কোন্দল মেটানোর চেষ্টা করলেও আখেরে লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
অন্যদিকে বিজেপির বাংলা দখল করার দাবিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলো। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই দাবিকে নাস্যাৎ করে দিয়েছেন।