মমতা দিদি আপনাকে না হারানো পর্যন্ত বারবার আসব বাংলায়! ঠাকুরনগর থেকে বললেন অমিত শাহ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ বাংলায় ব্যাক টু ব্যাক সভা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের। সকালে কোচবিহারে সভা করার পর দুপুরে বনগাঁর ঠাকুরনগরে সভা করেন তিনি। বনগাঁর ঠাকুরনগরে ৩০ জানুয়ারি সভা করার কথা ছিল অমিত শাহের। কিন্তু তাঁর একদিন আগেই দিল্লীতে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে হওয়া বিস্ফোরণের জেরে সুরক্ষার কারণে ওনার বাংলার সফর বাতিল হয়ে যায়। তবে তিনি সেদিনই বলেছিলেন যে, ঠাকুরনগরের সভা মঞ্চ যেন খুলে না নেওয়া হয়, সেখানেই তিনি সভা করবেন।

প্রতিশ্রুতি মতো তিনি আজ ঠাকুরনগরে সভা করলেন। আর চিরাচরিত ভাবে তিনি তৃণমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন। তিনি এও বলেন যে, যতদিন না আপনাকে হারাচ্ছি ততদিন বাংলায় আসতেই থাকব।

তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমার খুব খারাপ লাগে এটা দেখে যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্রের বাংলা আজ রক্তরঞ্জিত। অমিত শাহ বলেন, আমি বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে আগেই বলেছিলাম যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যে যেই গুজব আর বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে আমি তাঁর জবাব দিতে আসবই।

অমিত শাহ বলেন, মমতা দিদি আপনার উল্টো গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন শেষ হলে আপনার বিদায় নিশ্চিত হবে। অমিত শাহ বলেন, বাংলায় ক্ষমতায় এসে প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আয়ুষ্মান যোজনা চালু করার ঘোষণা হবে।

অমিত শাহ বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে কৃষক সন্মান নিধি প্রকল্প চালু করতে দেননি। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন যে, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কিষাণ সন্মান নিধি প্রকল্প চালু করবে আর কৃষকদের বঞ্চিত অর্থ সুদ সমেত ফেরত পাবেন।

তিনি বলেন, আমরা লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলাম যে এবার জিতলে আমরা মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেব। ১৯ এর নির্বাচনে জিতে ২০২০ সালে আমরা লোকসভা আর রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করিয়েছি।

তিনি বলেন, মাঝে করোনার জন্য CAA এর কাজ আটকে যায়। আর সেই সুযোগে মমতা দিদি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু করেন। অমিত শাহ বলেন, আমি এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, দেশে টিকাকরণের অভিযান শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। আমরা যা বলি তাই করি।


Baisakhi Dutta

সম্পর্কিত খবর