বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) রবিবার নকশাল প্রভাবিত ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি হাইলেভেল বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকশাল প্রভাবিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করবেন আর সীমান্ত সুরক্ষার পরিস্থিতিগুলি খতিয়ে দেখবেন। পাশাপাশি ওই রাজ্যগুলিতে চলা নকশাল বিরোধী অভিযানের সম্পর্কেও তথ্য হাসিল করবেন তিনি। এই বৈঠক দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ডাকা হয়েছে।
বৈঠকে ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও, অন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জোগণ মোহন রেড্ডি, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান আর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের যুক্ত হওয়ার কথা।
এই বৈঠকে অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জোগণ মোহন রেড্ডি আর ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল অংশ নিচ্ছেন না। তাঁরা নিজেদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে পাঠাচ্ছেন। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নকশাল প্রভাবিত অঞ্চলের উন্নয়নের কাজের সমীক্ষা করবেন। রাস্তা, বিদ্যুৎ, স্কুল আর স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বলে দিই, ভারতে নকশাল প্রভাবিত এলাকা আগের থেকে অনেক কমেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৪৫টি নকশাল প্রভাবিত এলাকা রয়েছে। ২০১৯ সালে যা ছিল ৬১।
২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ৩৮০ জন নিরাপত্তারক্ষী, এক হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ আলাদা আলাদা এলাকায় হওয়া হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি ৯০০-র বেশি মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ২০০ মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে জীবনের মূল ধারায় ফিরে আসার পণ করেছে।