বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিবসেনা (Shiv Sena) কেন্দ্রের সমবায় মন্ত্রক বানানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার বলেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ভালো কাজ করবেন, কারণ তিনি গুজরাতে সমবায় আন্দোলনের অংশ ছিলেন। উল্লেখ্য, অমিত শাহকে এই বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিবসেনার মুখপত্র সামনায় একটি সম্পাদকীয় কলমে বলা হয়েছে যে, রাজনীতি আর সমবায় ক্ষেত্রে খুব একটা বেশী ফারাক নেই। আর সবকিছু সুবিধা এবং নিয়ম অনুসারে হয়। উল্লেখনীয়, কেন্দ্রের তরফ থেকে নতুন মন্ত্রালয় গড়ার পর এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, রাজ্যের সমবায় ক্ষেত্রে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
শিবসেনার মুখপত্রে আরও লেখা হয়, ‘যদি আমিত শাহ সমবায় ক্ষেত্রর উন্নয়ন আর বিস্তারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিয়ে সমস্যায় পড়ার দরকার নেই। মানুষের মনে এই ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, অমিত শাহ এনসিপি আর কংগ্রেস নেতাদের পুরনো মামলার তদন্ত শুরু করবে এবং মহারাষ্ট্রে সমবায়ের মাধ্যমে সরকার বানাবে। এরকম ধারণা ছড়ানো অমিত শাহের বদনাম করা ছাড়া আর কিছুই না।” শিবসেনা জানায়, অমিত শাহ ভালো কাজ করবেন কারণ তিনি রাজনীতিতে আসার আগে গুজরাতে সমবায় আন্দোলনকর্মী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
সামনায় লেখা হয়, ‘ভালো আর খারাপ, সত্য আর মিথ্যা, নৈতিক আর অনৈতিকের মতো গুণের মামলা রাজনীতি আর সমবায় ক্ষেত্রের মধ্যে বেশী ফারাক নেই। সবকিছু সুবিধা অনুযায়ী হয়। শেষে রাজনীতিতে সবাই সমান।” উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি সমবায় ক্ষেত্রের জন্য একটি আলাদা মন্ত্রক বানিয়েছে। এর আগে এটি কৃষি আর কিষাণ কল্যাণ মন্ত্রালয়ের মধ্যে একটি ছোট বিভাগ ছিল। অমিত শাহ শনিবার জানিয়েছেন যে, সরকার সমবায় সমিতি আর সমস্ত সমবায় সংস্থাকে আরও মজবুত করার জন্য প্রতিবদ্ধ।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে এমনিতেই জোট সরকারের মধ্যে চরম অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। শিবসেনার একের পর এক কাজে কংগ্রেসের দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই কারণে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি ঘোষণা করেছেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা একাই লড়বে। এমনকি তিনি কর্মীদের প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন। আর এর মধ্যেই শিবসেনার মুখপত্র সামনা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসা জল্পনা ছড়িয়েছে।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোল অভিযোগ করে বলেছে যে, শিবসেনা সরকার তাঁর উপর নজর রাখছে। অন্যদিকে শরদ পাওয়ারের এনসিপিও শিবসেনার কাজে খুশি নয়। আর এরই মধ্যে বিজেপির সঙ্গে কিছুটা হলেও সম্পর্ক মধুর হয়েছে উদ্ধব ঠাকরেদের। জল্পনা ছড়িয়েছে যে, বিজেপি আর শিবসেনা আবারও কাছাকাছি আসতে পারে। তবে আগামী দিনে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে কী হবে, সেটা সময়ই বলবে।