বাংলাহান্ট ডেস্ক : হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মহীরুহ অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। ৮০ পেরিয়েও তাঁর জীবনীশক্তি এবং কর্মক্ষমতা দেখার মতো। অনায়াসে তিনি টেক্কা দিতে পারেন তরুণ প্রজন্মের ‘ফিট’ নায়কদের। দশকের পর দশক ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে, বিরামহীন ভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। ভারতীয় সিনেমাকে দিয়েছেন নতুন পরিচয়, নতুন মঞ্চ। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
৮০ পেরিয়েও ছুটছেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)
বর্তমানে ৮১ চলছে অমিতাভের (Amitabh Bachchan)। কিন্তু তাঁকে দেখে সেকথা বোঝা দায়। মনের বয়স একেবারেই বাড়তে দেননি বিগ বি। এই বয়সেও তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সক্রিয়। কাজ করে চলেছেন একের পর এক ছবিতে। কাজের নেশা তাঁকে অবসর নিতে দেয় না। সদ্য ‘কল্কি’ ছবিতে অমিতাভের (Amitabh Bachchan) অ্যাকশন চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল দর্শকদের। দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে প্রভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এই বয়সে এসেও অমিতাভ কী ম্যাজিক তৈরি করতে পারেন পর্দায়, তা দেখিয়েছে দিয়েছে কল্কি।
আরো পড়ুন : Tonni Laha Roy: মায়ের মৃত্যুই বেঁধে দিল বন্ধন, পরস্পরকে আঁকড়ে নতুন পথচলা শুরু রাজদীপ-তন্বীর
এক সময় বলেছেন অনেক মিথ্যে
তবে মনের জোরে যতই কাজ করুন না কেন, বয়সের ঘরে সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তার প্রভাব পড়ছে শরীরেও। মাঝে মধ্যেই অমিতাভের (Amitabh Bachchan) অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শোনা যায়। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির শুটিংয়ের সময় মানালি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিগ বি। তারপর সুস্থ হয়ে উঠে ছবির শুটিং সম্পূর্ণ করেন তিনি। এছাড়াও মাঝে মধ্যেই বার্ধক্যজনিত কারণে সামান্য কাবু হয়ে পড়েন তিনি। তবে এখন বয়সের ভারে জীবন তথা কাজের গতি খানিক ধীর হলেও একটা সময় ছিল যখন নিজের অসুস্থতা নিয়ে মিথ্যে বলেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : Arindam Sil: অতীতেও রয়েছে কেলেঙ্কারি, অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সাসপেন্ড অরিন্দম শীল
অসুস্থতা নিয়ে দিতেন মিথ্যে অজুহাত
দিনের পর দিন পরিবারকে মিথ্যে কথা বলে গিয়েছেন অমিতাভ। শরীর খারাপের মিথ্যে অজুহাত খাড়া করতেন তিনি। সে অবশ্য অনেক কাল আগের কথা। তখন অমিতাভ ছিলেন স্কুল ছাত্র। তবে স্কুলে যেতে মোটেই পছন্দ করতেন না তিনি। তাই একের পর এক মিথ্যে শরীর খারাপের অজুহাত তৈরি করতেন তিনি। আর সকলে তাঁকে বিশ্বাসও করে নিত।
পুরনো স্মৃতি হাতড়ে অমিতাভ বলেন, একটি পদ্ধতি আছে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানোর। বগলের মধ্যে পেঁয়াজ রেখে দিলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে জ্বর এসে যায়। আর ছোট্ট অমিতাভ স্কুল ফাঁকি দেওয়ার জন্য বারবার এই পদ্ধতিটাই অবলম্বন করতেন।