Bangla Hunt Desk: অমিতাভ মালিক (Amitav Malik), দার্জিলিং-এ গুরুং বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে বীরের মত শহীদ হয়েছিলেন বছর ২৬ শের এক ইয়ং পুলিশ অফিসার। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী এবং বৃদ্ধ বাবা মাকে ছেড়ে অকালেই চলে গিয়েছিল এক তরুণ তরতাজা প্রাণ। সেদিন তাঁর কফিন বন্দী দেহ বাড়িতে আসার পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল গোটা এলাকা।
পুলিশ দিবসে অমিতাভর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য
সম্প্রতি পুলিশ দিবসে বারাসাত ইয়ং জেনারেশনের সদস্যরা এই বীর শহীদ অমিতাভ মালিকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন। অমিতাভ মালিকের ছবিতে মাল্যদান করে, তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিলে মিষ্টি এবং পোশাক।
বারাসাত ইয়ং জেনারেশনের অন্যতম সদস্য সোহম পাল জানিয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গোটা রাজ্য জুড়েই পুলিশদিবস পালন করা হচ্ছে। সমস্ত পুলিশবিভাগ নিজেদের মতন করে এই দিনটি তারা পালন করছেন। জানি, অনেকেরই হয়ত অমিতাভ মালিকের কথা মনে নেই। তবে আমরা তাঁকে ভুলিনি। রাজ্যের সুরক্ষায় জীবন উতসর্গ করা এই মহান মানুষটির প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ালাম’।
খোঁজ নেয়নি স্ত্রী বিউটি
পুলিশ দিবসে একদিকে যেমন এলাকাবসী অমিতাভ মালিকের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করলেন, তেমনই অন্যদিকে মৃত পুলিশ অফিসারের পিতার গলায় শোনা গেল বিষন্নতার সুর। অমিতাভ মালিকের স্ত্রী বিউটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল তাঁর পরিবার। অমিতাভ মালিকের পরিবারের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১৩ ই অক্টোবর দার্জিলিংয়ের জঙ্গলে গুরুং বাহিনীর ছোড়া বুলেটে থেমে গিয়েছিল অমিতাভ মালিকের জীবনের চাকা। তখন তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী বিউটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেও, আজ সেই অমিতাভের পরিবারের সাথে কোনরকম যোগাযোগ তিনি রাখেননি।
ধরা দিচ্ছে নতুন সম্পর্কে
অমিতাভর বাবা জানিয়েছেন, ছেলের মৃত্যর পর মাত্র ৩ দিন তাঁদের বাড়িতে ছিলেন বউমা বিউটি। কোন দায়িত্বও পালন করেনি সে। কথা মত পুলিশের চাকরি পেয়েও কোনোরকম খোঁজখবর নেয়নি তাঁদের। এমনকি বর্তমানে বিউটির সঙ্গে আরেকজন পুলিশকর্মীর সম্পর্কের কথাও বললেন তিনি।