বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগামীকাল দুপুরেই ভূ ভাগে আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন আমফান৷ গত ২১ বছরে এমন ঘুর্ণিঝড় দেখেনি বাংলা, ওড়িশা। তাই এই ভয়ংকর ঝড়ের মোকাবিলায় কোনো খামতি রাখতে চাইছে না কেউই। ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে পথে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডিজি জানিয়েছেন জানিয়েছেন, যে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে যা দাবি করা হচ্ছে, আমরা তা পূরণ করছি। এনডিআরএফ দলগুলি ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া চারটি দলকে স্ট্যান্ডবাইতে রাখা হয়েছে, ওড়িশায় ১৩ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে এবং ১৭ টি স্ট্যান্ডবাইতে রাখা হয়েছে। এছাড়াও সেনা, বিমানবাহিনী, নৌ ও কোস্টগার্ডের দলকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর ২০ ঘন্টার মধ্যে স্থলভাবে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঝড়। দীঘা ও হাতিয়া দ্বীপের মাঝখানে এই ঝড় আছড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে বাংলার ৭ জেলা প্রবল সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ। ফলে এই তিন জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড় বয়ে যাবে ১১০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে। এই চার জেলাতেও ক্ষতি হবে। সব মিলিয়ে বাংলার ৭ জেলা আশঙ্কার প্রহর গুনছে।
পাশাপাশি, প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক সরকার জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন সাড়ে ছয়শো গ্রামের প্রায় ৭ লাখ মানুষ এই মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘুর্ণিঝড়ের কোপে পড়তে পারে।