বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় কেরিয়ার ও তার পরবর্তী জীবনে একের পর এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমৃতা সিং (amrita singh)। সাহসিকতার দিক দিয়ে যথেষ্ট বোল্ডনেসের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। যে সময়ে ব্যতিক্রমী হওয়ার আগে সকলে দশ বার ভাবত, সে সময়ে দাঁড়িয়ে সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের থেকে বয়সে ছোট সইফ আলি খানকে (saif ali khan) বিয়ে করেন অমৃতা। তাও আবার নিজের কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন সময়ে।
মাত্র তিন মাস সম্পর্কে থাকার পরেই সইফকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন অমৃতা। দুজনের আলাপটাও হয়েছিল বেশ অদ্ভূত ভাবে। ১৯৯১ সালে ‘বেখুদি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখার কথা ছিল সইফের। তাঁর বিপরীতে ডেবিউ করতেন কাজল। কিন্তু অপেশাদারিত্বের জন্য সে ছবি থেকে বাদ পড়েন সইফ।
তারপরেই বদলে যায় তাঁর জীবন। একটি ফটোশুটের দৌলতে অমৃতার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। সে সময়ে ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী অমৃতা সিং। দুজনের বন্ধুত্ব হতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি। এমনকি ফটোশুটের পরেই অভিনেত্রীকে ডিনারে যাওয়ার প্রস্তাব দেন সইফ। অমৃতা সে প্রস্তাব নাকচ করে অভিনেতাকে বলেন, তাঁর বাড়িতে আসতে।
অমৃতার বাড়িতেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন সইফ। এমনকি দুজনে একই ছাদের তলায় কিন্তু আলাদা আলাদা ঘরে থাকতে শুরু করেন। এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানান, বহুদিন অমৃতার বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সকলেই জেনে গিয়েছিল যে তাঁরা প্রেম করছেন।
একবার শুটিংয়ের জন্য বেরোনোর সময় সইফের কাছে কোনো টাকা পয়সা ছিল না। তিনি অমৃতার থেকে ১০০ টাকা ধার চাইলে অভিনেত্রী তাঁকে নিজের গাড়িটাই দিয়ে দেন। সইফের সঙ্গে আবারো দেখা করার লোভেই এই কাজ করেছিলেন বলে পরে জানিয়েছিলেন অমৃতা।
সিমি গ্রেওয়ালের শোতে এসে অভিনেত্রী এই অজানা গল্প জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “সইফ আমার বাড়িতে দুদিন ছিল। একদিন শুটিংয়ের জন্য বেরোতে হত তাঁকে। কিন্তু ওর কাছে টাকা পয়সা ছিল না। প্রথমে ও আমার কাছে ১০০ টাকা ধার চায়। তখন আমি ওকে বলি যে, আমার গাড়িটা কেন নিয়ে যাচ্ছো না? তখন সইফ বলে যে, প্রযোজনা সংস্থা থেকে গাড়ি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাও আমি জোর করি যে, অন্তত গাড়িটা ফেরত দিতে তো আবার ও আমার কাছে আসবে।”
দুজনের পরিচয়ের সূত্রপাতটা প্রেম দিয়ে হলেও তাঁদের বিবাহিত জীবন কিন্তু খুব একটা সুখের হয়নি। ১৯৯১ সালে বিয়ে করে ২০০৪ এ বিচ্ছেদ হয়ে যায় সইফ অমৃতার। তিক্ততা এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও আলাদা হয়ে যান তাঁরা।