বাংলা হান্ট ডেস্ক : পরপর বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে চরম বিপাকে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বিবিসির (BBC) তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ (The Modi Question) এবং হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে কেন্দ্র করে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Groups) শেয়ারের পতন ঘিরে চলছে টালমাটাল পরিস্থিতি। এরই মধ্যে এবার এক মার্কিন ধনকুবের দাবি করেন, ‘আদানিকে ঘিরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার ধাক্কা ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার সম্ভাবনাকে তৈরি করবে।’
জর্জ সোরস (George Soros) নামের ওই ধনকুবের আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) আদানি সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে চরম বিতর্কের। অবশ্য এর জবাবও পাল্টা দিয়েছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বলেন, ‘ভারতের গণতান্ত্রে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে বিদেশি শক্তিগুলি।’ এর বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করার আবেদনও এদিন করলেন তিনি।
জর্জ সোরস ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। বাক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দেয় তাঁর সংস্থাটি। সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখে একটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন জর্জ। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদানি প্রসঙ্গে নিয়ে এখনও নীরব কেন? তাঁকে এর জবাব দিতেই হবে। এই ঘটনা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মোদির ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেবে।’
এরই সঙ্গে জর্জ দাবি করেন, এবার ভারতে ধীরে ধীটে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে। তাঁর এই মন্তব্যে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, তিনি বলতে চাইছেন ভারতে এই মুহূর্তে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই নেই। এমনই দাবি করছে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
মার্কিন ধনকুবেরের এই রকম মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) এই ধরনের মন্তব্য ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন এটা বিদেশি চক্রান্ত। স্মৃতি এদিন বলেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে আমার আরজি, জর্জ সোরসকে সঠিক জবাব দিন।’ অদ্ভুত বিষয় হল, বিজেপির বিরোধীরাও এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের বলেন, আদানি ইস্যু নিতান্তই ভারতের। এই বিষয় নিয়ে জর্জ সোরসের নাক গলানোর কোনও প্রয়জন নেই।