বাংলাহান্ট ডেস্ক : জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার গাজলডোবার হস্তশিল্পী নিশি ঘরামি গত তিন মাস ধরে গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মূর্তি। নিশি বাবুর এই হস্তশিল্প এখন রীতিমতো আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। শিল্পী চান নিজের হাতে এই মূর্তি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে।
গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজে ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিশি বাবু মুখ্যমন্ত্রীর এই উন্নয়নমূলক কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি। এক এলাকাবাসীর কথায়, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব এই মূর্তিটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার। জেলা নেতৃত্ব ও অন্যান্যদের সাথে কথা বলে চেষ্টা করব যাতে এই মূর্তিটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
কাঠের সাহায্যে পুতুল, দেব-দেবী অথবা মানুষের আবক্ষ মূর্তি তৈরি করেন নিশি বাবু। হঠাৎ তিনি ঠিক করলেন কাঠ দিয়ে তৈরি করবেন মুখ্যমন্ত্রীর মূর্তি। এরপর লাগাতার তিন মাস পরিশ্রম করে তিনি তৈরি করে ফেলেছেন সেই মূর্তি। দিনরাত এক করে তিনি নিখুঁতভাবে কাঠের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখন শিল্পীর ইচ্ছে তিনি নিজের হাতে এই মূর্তিটি মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেবেন।
যদিও শিল্পীর এই মূর্তির বিনিময় কোনও কিছু দাবি নেই। তার একটা ইচ্ছে যে সরকার হস্তশিল্পীদের জন্য আরো কাজ করুক। ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে এখন নিয়মিত ভিড় করছেন পর্যটকরা। এই পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে বিভিন্ন হস্তশিল্পের দোকান। পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকরা ঘুরে দেখছেন এই দোকানগুলি। শিল্পীদের অবাক করে দেওয়া হাতের কাজ কিনছেন অনেকে।
হস্তশিল্পী নিশি ঘরামি জানিয়েছেন, “আমরা হস্তশিল্প মেলায় অংশগ্রহণ করি। সেখানে অনেকে আসেন। দিদিও আসেন। যদি দিদির নজরে পড়ে তাহলে তিনি হয়তো খুশি হবেন। আমাদের জন্য আরো কাজ করবেন। দিদিকে ভালোবাসি। দিদির সাথে দেখা হলে মূর্তিটি ওনাকে গিফট করবো।” তবে, মূর্তিটি যে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একথা বলাই বাহুল্য।