কার্বোলিক অ্যাসিডের গন্ধে নাকাল সাপ! মুখে CPR দিয়ে বাঁচালেন জলপাইগুড়ির পরিবেশপ্রেমী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাপকে (Snake) ভয় পান না এমন ব্যক্তি রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। তাই, অধিকাংশজনই এই সরীসৃপটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পছন্দ করেন। যদিও, সাপ মানেই যে বিষধর এমনটা কিন্তু নয়। বরং, সর্পকুলের অধিকাংশ প্রজাতিই হয় নির্বিষ। যদিও, শুধুমাত্র ভয়ের বশবর্তী হয়ে অনেকেই সাপ দেখতে ফেলে সেগুলিকে মেরে ফেলেন। তবে, আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই থাকেন যাঁরা বিভিন্নভাবে রক্ষা করে চলেছেন সাপকে।

বর্তমান প্ৰতিবেদনে আমরা সেইরকমই এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যিনি সম্প্রতি মুখ দিয়ে CPR-এর মাধ্যমে বাঁচিয়ে তুলেছেন একটি সাপকে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, জলপাইগুড়ি হাইস্কুলের সামনে একটি বাড়িতে হঠাৎই আগমন ঘটে এক সাপের। স্বাভাবিকভাবেই সাপটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন।

শুধু তাই নয়, সেটিকে দূরে সরাতে কার্বোলিক অ্যাসিডও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, ওই অ্যাসিডটি সাপের গায়ে লেগে যায় বলে জানা যায়। পাশাপাশি, ওই অ্যাসিডের গন্ধেও রীতিমতো ঝিমিয়ে পড়ে ওই দাঁড়াশ সাপটি। একটি গাছের তলায় মৃতপ্রায় অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায় সেটিকে।

এদিকে, সাপটির এহেন অবস্থা দেখে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন ওই বাড়ির সদস্যরা। পাশাপাশি, ওই দাঁড়াশ সাপটিকে বাঁচাতে তাঁরা যোগাযোগ করেন পরিবেশপ্রেমী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীর সাথে। খবর পেয়েই বিশ্বজিৎ বাবু দ্রুত ওই বাড়িতে এসে সাপটিকে পরিষ্কার জলে স্নান করিয়ে কিছু ওষুধ প্রয়োগ করেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ঝিমিয়ে পড়া সাপটিকে মুখ দিয়ে CPR-ও দেন তিনি। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টার পর ক্রমশ সুস্থ হয় সাপটি। পাশাপাশি, সেটি চলতে সক্ষম হলে বিশ্বজিৎ বাবু সাপটিকে তাঁর বাড়ি সংলগ্ন জঙ্গলে ছেড়ে দেন।

এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ বাবু জানিয়েছেন, তিনি খবর পেয়েই ওই বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যান। তারপরেই সাপটিকে ঠান্ডা জলে স্নান করিয়ে CPR দিতে থাকেন তিনি। অতীতেও তিনি এইভাবে একাধিক সাপকে বাঁচিয়েছেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর সাপটি নড়াচড়া করলে সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই সম্পর্কিত ভিডিওটি সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে কিভাবে সাপটিকে সুস্থ করার লক্ষ্যে মুখ দিয়ে CPR দিচ্ছেন বিশ্বজিৎ বাবু।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর