সোজা দেশের রাষ্ট্রপতিই হতে চান পরিবেশবিদ! দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টে, কী রায় দিল শীর্ষ আদালত?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের রাষ্ট্রপতি (President of India) তাঁকে হতেই হবে! একেবারে ধনুক ভাঙা পন তাঁর। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। আর কোনও উপায় না দেখে তাই এ বার রাষ্ট্রপতি হতে চেয়ে সোজা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সেই ব্যক্তি। শুক্রবার সেই আবেদন খারিজও করে দিল শীর্ষ আদালত। তবে শুধু আবেদন খারিজ করেই শান্ত হননি বিচারপতিরা। রেগে লাল হয়ে গিয়ে পরিস্কার করে জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও আবেদন যাতে আবেদনকারী করতে না পারেন। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রেজিস্টারকেও সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।

বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শীর্ষ আদালতে ওই আবেদন করেন কিশোর জগন্নাথ সবন্ত নামে এক পরিবেশবিদ। শুক্রবারের শুনানিতে তিনি নিজেও হাজির হয়েছিলেন। আদালতে জগন্নাথ দাবি করেন, গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী হতে দেওয়া হয়নি। তাঁর এই সওয়াল শুনে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির মন্তব্য, এই আবেদন আদালতের কর্মপদ্ধতির অপব্যবহার ছাড়া কিছু নয়।

জগন্নাথ সবন্তের ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয় মূলত তিনটি বিষয়।

১) ২০২২ এর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁকে ত্রুটিবিহীন প্রার্থী হিসাবে গন্য করতে হবে।

২) প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করতে হবে।

৩) বেতন মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও আবেদন করা হয়।

এই আবেদনের কথা শুনে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, কী ধরণের অদ্ভূত দাবি আপনি ভারতের রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে করছেন? আসলে ওই ব্যক্তি ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের নাগরিক হিসাবে আমার সবরকম অধিকার আছে এই ধরনের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার।

বিচারপতি জানান, আপনার কোনও অধিকার নেই এই ধরনের আবেদন করার। আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতেই পারেন। কিন্তু কোর্টে এসে পাবলিকের সময় নষ্ট করার অধিকার আপনার নেই। তিনি আদালতের সময় চেয়ে জানান, গত তিনবার রাষ্ট্রপতি পদে দাঁড়াতে চেয়েছি। কিন্তু মনোনয়নপত্রও জমা দিতে দেওয়া হয়নি। নমিনেশন দেওয়ার অধিকার তো আমার রয়েছে। দাবি করেন ওই ব্যক্তি। বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আমাদের কর্তব্য।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর