ফ্রী-তে খেতে যাওয়াই হল কাল…! কানাডায় মোটা মাইনের চাকরি খোয়ালেন ভারতীয়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফ্রী তে খেতে যাওয়াই হল কাল। বিনামূল্যে খাবার খেতে গিয়ে সোজা মোটা বেতনের চাকরি খুইয়ে বসলেন এই প্রবাসী যুবক। তবে কেবল যে তিনি নিজে একাই বিনামূল্যে খাবার খাচ্ছিলেন তাই নয়, সেই সাথে আর পাঁচজন মানুষকেও জানাচ্ছিলেন যে, তিনি ঠিক কীভাবে ফ্রীতে খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন। আর তাতেই ঘটেছে যত বিপত্তি। ঘটনার বিবরণ শুনলে আপনিও হাসি চাপতে পারবেন না।

প্রথমেই বলি, ঘটনাটি ঘটেছে কানাডায় (Canada)। সেদেশেরই কোনও এক কোম্পানিতে বেটা সায়েন্টিস্টের চাকরি করতেন ভারতীয় (India) বংশোদ্ভুত মেহুল প্রজাপতি। শোনা যাচ্ছে, বেশ মোটা বেতনের চাকরি ছিল তার। সাধারণত কানাডায় এই পদের জন্য মাস গেলে মাইনে হয় ৯৮ হাজার ডলারের কাছাকাছি। মানে বুঝতেই পারছেন যে, টাকার অঙ্কটা নেহাত কম কিছু নয়।

তবে এত টাকা রোজগার করেও ফ্রী-র খাবারের লোভ ছাড়তে পারেননি মেহুল‌। আর তাই তো তিনি চলে গিয়েছিলেন কানাডিয়ান ফুড ব্যাঙ্কে। যেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়‌। তবে তিনি যে কেবল নিজেই খাবার খাচ্ছিলেন তা নয়, সেই সাথে ভিডিও করে সকলকেই জানাচ্ছিলেন যে, কীভাবে কানাডাতে বিনামূল্যে খাবার পাওয়া যায়। আর তার সেই ভিডিও-ই হল কাল।

আরও পড়ুন : ‘নির্ভয়া দিদিকে কুরুচিকর আক্রমণ’, অভিষেককে বেনজির তোপ অমিত মালব্যর, ডিজিকে চিঠি পাঠাল মহিলা কমিশন

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে মেহুলের কোম্পানি। সোজা টার্মিনেশন লেটার ধরিয়ে দেয় মেহুলের হাতে। এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, মেহুল তো আর চুরি করেন নি। ফুড ব্যাঙ্কে খাবার ফ্রী দেওয়া হয় সেই সুবিধাই নিয়েছেন তিনি। তাহলে কেন তার বিরুদ্ধে এত কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হল? এখানেই রয়েছে আসল মজা।

আরও পড়ুন : জেনারেল টিকিটে AC-তে ওঠার দিন শেষ! যা পদক্ষেপ নিল রেল, শুনে আঁতকে উঠবেন

Canada

আসলে কানাডার এই ফুড ব্যাঙ্কগুলি সমাজের দুঃস্থ মানুষদের জন। যাদের কাছে রুজি রোজগারের কোনও উপায় নেই তাদের জন্য এই ধরণের ফুড ব্যাঙ্ক খোলার ব্যবস্থা রয়েছে সেদেশে। সরকারের পাশাপাশি দেশের আম জনতাও দান করে থাকেন ফুড ব্যাঙ্কগুলি থেকে। এমন আবহে মোটা বেতনের চাকুরে ফুড ব্যাঙ্ক থেকে ফ্রী তে খাবার নিয়ে যাবে তা মোটেও বরদাস্ত করতে পারেনি মেহুলের কোম্পানি। তাই তো শাস্তিস্বরূপ মিলেছে টার্মিনেশন লেটার। যদিও এই ফুড ব্যাঙ্কের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন মেহুল।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর