বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তাজ্জব কাণ্ড নদিয়ায় (Nadia)! জীবিত রয়েছেন স্বামী, অন্যদিকে স্ত্রী পাচ্ছেন বিধবা ভাতা (Widow Pension)। নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) দুই নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে শোরগোল। শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ঘটনাটা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, বৈদ্যপুরের বাসিন্দা দম্পতি মিলনরানী পাল ও মানিক পাল। মানিকবাবু সুস্থ সবলই রয়েছেন। তবে বিধবা ভাতা পাচ্ছেন স্ত্রী মিলনরানীদেবী। বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই সাফাই দিয়ে তিনি বলেন, আমরা পঞ্চায়েতে বার্ধক্য ভাতার জন্য কাগজপত্র জমা করেছিলাম। কিন্তু কিকরে বিধবা ভাতা পাচ্ছি বলতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী জীবিত রয়েছেন। আমার বয়স ৬০ বছর। আগে লক্ষীর ভান্ডার পেতাম। তবে সেটা এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে গোটা এই ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন বৈদ্যপুর-এক নম্বর গ্রাম তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণ রায়। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। হয়তো ভুলবশত বার্ধক্য ভাতার পরিবর্তে বিধবা ভাতা হয়ে গিয়েছে।
তার কথায়, এখানে আবেদনকারী বা পঞ্চায়েতের কোনও ভুল নেই। তবে বিজেপি (BJP) চক্রান্ত করে এই সমস্ত কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন বৈদ্যপুর এক নম্বর অঞ্চল সভাপতি বিজেপির অনুকূল সরকার।
তিনি বলেন, “এটা তৃণমূলের কালচারে পরিণত হয়েছে। স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও মৃত প্রমাণিত করে, সেই ভাতার টাকা এরাই তুলে খাচ্ছে। অথচ দায় চাপাচ্ছে বিজেপির নামে। অঞ্চলটা তৃণমূলের দখলে। তৃণমূল সরকার চোরদের সরকার, এই সরকার দুর্নীতির সরকার।”