বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউড ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে খলনায়িকা বলতে সবার আগে একজনের মুখই মনে পড়ে। তিনি অভিনেত্রী অনামিকা সাহা (Anamika Saha)। এত বছর পরেও ‘বিন্দু মাসি’ মনে ভয় ধরায় বইকি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) থেকে শুরু করে সদ্য প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল সহ সে সময়কার প্রথম সারির সব অভিনেতাদের সঙ্গেই কাজ করেছেন অনামিকা।
শুনলে অবাক হবেন, অনামিকা সাহার বর্তমান বয়স ৬৩ বছর। অথচ বয়সে কয়েক বছরের ছোট অভিষেক, প্রসেনজিৎ এবং নিজের থেকে এক বছরের বড় তাপস পালের মায়ের চরিত্রে অনায়াসে অভিনয় করেছেন তিনি। যে বয়সে অভিনেত্রীরা মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার কথাও ভাবতে পারেন না, সে সময়ে অনামিকা সাহা ঠাকুমা, দিদিমার চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। কারণ অভিনয়টা ছাড়তে চাননি তিনি।
মাত্র ২৯ বছর থেকেই মায়ের চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন অনামিকা। নায়িকা কখনোই হয়ে ওঠা হয়নি তাঁর। আসলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বলা হয়েছিল, বাড়ির বৌ অভিনয় করতে পারবে। কিন্তু একটি শর্তে। এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় যেন না করে যেটা পরিবারের লোকেরা বসে দেখতে পারবে না।
এখন নায়িকা হলে তো নায়কের সঙ্গে প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতেই হবে। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও থাকবে। তাই শেষমেষ মা, ঠাকুমা, দিদিমার চরিত্রের জন্যই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন অনামিকা। এ বিষয়ে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তিনি পরামর্শ দেন, পান্তাভাত, ফ্যানাভাত খেয়ে মুখটা খাটে ঝুলিয়ে দিয়ে ঘুমাতে।
পরামর্শগুলো সত্যিই কাজে দিয়েছিল। এখনকার অনামিকা সাহার সঙ্গে আগের অনামিকা সাহার অনেক পার্থক্য। চিরঞ্জিতের পরামর্শ মেনে, শরীরচর্চা না করে ওজন বাড়ান অভিনেত্রী। তারপর নতুন রূপে শুরু করেন মা ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয়।
যে নায়কদের মায়ের চরিত্রে তিনি অভিনয় করতেন তাঁরা সকলেই তাঁর চেয়ে কয়েক বছরের ছোট কিংবা বড় ছিল। তাই সবাল সঙ্গেই ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে এক মজার কথা জানান অনামিকা। অনেক ছবিতে প্রসেনজিতের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। অথচ বাস্তবে মা ছেলের বয়সের পার্থক্য মাত্র চার বছর। তাই প্রসেষজিৎ নাকি অনামিকা সাহাকে ক্যামেরার সামনে প্রণাম করলেও পরে ক্যামেরা অফ হলেই থাপ্পড় মারতেন!