বাংলাহান্ট ডেস্ক : আচ্ছা, টলিউডের জাঁদরেল ভিলেনদের প্রসঙ্গ উঠলে কার নাম সবার আগে মনে পড়ে বলুন তো? অনেকেই বলবেন, অনামিকা সাহার (Anamika Saha) নাম। একটা সময়ে বাংলা ছবির নেতিবাচক চরিত্র পছন্দের ক্ষেত্রে মহিলাদের মধ্যে তিনিই ছিলেন এগিয়ে। তাঁর পরিচয়ই হয়ে গিয়েছিল ‘বিন্দুমাসি’ নামে। এখনো বিভিন্ন জায়গায় মাচা শো করতে গেলে তাঁর পুরনো চরিত্র, সংলাপ গড়গড় করে বলে দিতে পারবে মানুষ। এমনি ছিল তাঁর জনপ্রিয়তা।
আলাদাই দাপট ছিল অনামিকা সাহার (Anamika Saha)
অবশ্য ‘ছিল’ বললে ভুল বলা হবে, এখনো রয়েছে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নেতিবাচক চরিত্র থেকে খানিক সরে এসেছেন অনামিকা (Anamika Saha)। মিষ্টি মিষ্টি দিদা, ঠাকুমার চরিত্রে প্রায়ই দেখা যায় তাঁকে। সিনেমা হোক কী সিরিয়াল, অনামিকা সাহার দাপট আলাদাই।
প্রসেনজিতের সঙ্গে পুরনো স্মৃতি শেয়ার: যখন সিনেমা করতেন, তখন তাবড় নায়কদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। এই তালিকায় যে নামটা না নিলেই নয় তা হল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দুজনে একসঙ্গে বহু ছবি করেছেন। তবে একটি ছবির মজার ঘটনা এখনো মনে আছে অভিনেত্রীর। সম্প্রতি টিভি নাইন বাংলার সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা জানান প্রবীণ অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন : শ্রেয়া বা সুনিধি নয়, দেশের সবথেকে ধনী গায়িকার সম্পত্তি ২০০ কোটিরও বেশি! চমকে দেবে নামটা
কী বলেছিলেন অভিনেত্রী: অনামিকা সাহা (Anamika Saha) এবং প্রসেনজিতের একটি ছবির শুটিং পড়েছিল সরস্বতী পুজোর দিন। ঠিক হয়েছিল, তাঁর একটি দৃশ্যের শুটিং করেই মহরৎ হবে। অনামিকা সাহা (Anamika Saha) জানান, তাঁর চরিত্রটি ছিল বেশ ‘ঝাঁঝালো’। পুজো, খাওয়াদাওয়ার পর তিনি মেকআপে বসেন। ৫ টার সময় ছিল কলটাইম। প্রসেনজিতের উদ্দেশে অভিনেত্রীর সংলাপ ছিল, ‘হারামজাদা, বুদ্ধি আক্কেল জীবনে হবে না? এমন একটা মেয়ের সঙ্গে তুই মিশছিস!’
আরো পড়ুন : নতুন বছরে মায়ের কোলে চেপে প্রকাশ্যে কৃষভি! কাঞ্চন নাকি শ্রীময়ী, কার মতো দেখতে হল খুদেকে?
অনামিকা সাহা (Anamika Saha) জানান, শট ওকে হওয়ার পরেই প্রসেনজিৎ বলে উঠেছিলেন, ‘ছি ছি অনামিকাদি! সরস্বতী পুজোর দিন তুমি এভাবে আমাকে গালাগাল করলে!’ অভিনেত্রী বলেন, তিনি সত্যিই ভেবেছিলেন যে প্রসেনজিৎ হয়তো ওটা মন থেকে বলেছিলেন। এমনই ছিল তাঁর অভিনয় দক্ষতা। পরে অবশ্য তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে বুম্বাদা স্রেফ মজা করছেন। শটের পর অনামিকা সাহাকে জড়িয়েও ধরেছিলেন প্রসেনজিৎ।